×

  • নিউজ ডেস্ক

    প্রকাশিত : তারিখ - ২০২৫-০১-০৬, সময় - ১২:৩৮:১৫

টিউলিপ সিদ্দিকের পর এবার তার বোন আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তির নামে উপহার হিসেবে ফ্ল্যাট পাওয়ার তথ্য উঠে এসেছে যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যমে। সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ এবং সানডে টাইমস এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

টিউলিপ সিদ্দিক ও তার ছোট বোন আজমিনা সিদ্দিক বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে।

সানডে টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৯ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে আজমিনা সিদ্দিককে লন্ডনের হ্যাম্পস্টেডের ফিনচলে রোডে একটি ফ্ল্যাট উপহার দেওয়া হয়। উপহারের এই ফ্ল্যাটের মালিক ছিলেন বাংলাদেশের আইনজীবী মঈন গনি। ওই সময় আজমিনা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছিলেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৯ সালে মঈন গনি নামে বাংলাদেশি এক আইনজীবী লন্ডনের হ্যাম্পস্টেডের একটি ফ্ল্যাট আজমিনার নামে হস্তান্তর করেছিলেন। পরে, টিউলিপ কিছু সময়ের জন্য ওই ফ্ল্যাটে থেকেছিলেন।

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, মঈন গনি শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ছিলেন। ২০২১ সালে তাকে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে বিশ্ব ব্যাংকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর আগে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে আওয়ামী লীগের সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি কাজ করেছেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ফ্ল্যাটটির ঠিকানা টিউলিপ সিদ্দিক ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ব্যবহার করেছেনএই বিষয়ে টিউলিপ সিদ্দিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, তিনি কেবল একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তার বোনের ফ্ল্যাটে বসবাস করেছিলেন।

এর আগে শুক্রবার ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের একটি প্রতিবেদনে টিউলিপের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট আবাসন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট উপহার নেওয়ার দাবি করা হয়।

। এমনকি তার স্বামীও ২০১৬ সাল পর্যন্ত এই ফ্ল্যাটের ঠিকানা ব্যবহার করেছেন। ২০২১ সালে আজমিনা সিদ্দিক ফ্ল্যাটটি ৬ লাখ ৫০ হাজাশেখ রেহানার তিন সন্তান রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, টিউলিপ সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তি। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের ভূমি নিবন্ধনসংক্রান্ত নথির বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৪ সালে লন্ডনের কিংস ক্রসে এলাকার কাছে কোনোরকম অর্থ না দিয়েই ফ্ল্যাট পেয়েছিলিন টিউলিপ। ২০০৪ সালে ফ্ল্যাটটি তাকে দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিয়ে জানাশোনা আছে এমন একজন ব্যক্তি ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছেন, আবাসন ব্যবসায়ী আবদুল মোতালিফের দুর্দিনে তাকে আর্থিক সহায়তা করেছিলেন টিউলিপের মা-বাবা। তাই কৃতজ্ঞতাস্বরূপ নিজের মালিকানায় থাকা ‘একটি সম্পদ’ টিউলিপকে দিয়েছিলেন।

বর্তমানে আবদুল মোতালিফ দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনে বসবাস করেন। ভোটার নিবন্ধনসংশ্লিষ্ট নথি থেকে জানা গেছে, ওই এলাকায় মোতালিফের ঠিকানায় মজিবুল ইসলাম নামের আরেক ব্যক্তি বসবাস করেন। মজিবুলের বাবা ২০১৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন।র পাউন্ডে বিক্রি করেন।


নিউজটি শেয়ার করুন



এ জাতীয় আরো খবর..
ইউটিউবে আমরা...
ফেসবুকে আমরা...