×

  • নিউজ ডেস্ক

    প্রকাশিত : তারিখ - ২০২৪-১২-০৫, সময় - ১২:১১:৪৭

জলবায়ু পরিবর্তন, অনাবৃষ্টি এবং কীটনাশকের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে বিলুপ্তির পথে দেশীয় ছোট মাছ। স্বাদু পানির ১৪৩ প্রজাতি মাছের মধ্যে ৬৪টি প্রজাতিই এখন সংকটে। তবে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের সান্তাহার প্লাবনভূমি উপকেন্দ্রের উদ্যোগে বিলুপ্ত প্রায় মাছ সংরক্ষণ ও কৃত্রিম প্রজননে এই সফলতা পেয়েছে। এবার পুকুরে চাষ করেও মেটানো যাবে দেশীয় ছোট মাছের চাহিদা।

বর্ষা পরবর্তী মৌসুমে খাল বিলের পানি কমতে শুরু করলে ধরা পরে নানা জাতের ছোট মাছ। তবে জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন কারণে এসব বিলুপ্ত হতে বসেছে। বিলুপ্তি ঠেকাতে মাছ সংরক্ষণ ও কৃত্রিম প্রজননে সফল হয়েছে বগুড়ার সান্তাহার প্লাবনভূমি উপকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা। পুকুরে চাষ করেও মেটানো যাবে দেশীয় ছোট মাছের চাহিদা।

গ্রামে বেড়ে ওঠা শিশুদের অন্যতম মজার স্মৃতি খেলার ছলে মাছ ধরা। শুষ্ক মৌসুমে খাল,বিলের পানি কমে যখন তলানিতে ঠেকে তখন শিশুরা দল বেধে মাছ ধরতে নামে। শিশুরা সবচেয়ে সহজে ধরতে পারে শান্ত স্বভাবের মাছ মেনি বা ভেদা। ভেদা মাছ দিয়েই হাতে খড়ি হতো মাছ শিকারিদের। কিন্তু ভেদাসহ স্বাদু পানির প্রায় ৬৪ প্রজাতি ছোট মাছ এখন বিলুপ্তির পথে।

বাতাসি, পেয়ালি, মেনি বা ভেদা এই মাছগুলো আর শিকারিদের জালে ওঠে না। নানান কারণেই বিলুপ্তপ্রায় এই মাছগুলো সংরক্ষণে উদ্যোগ নিয়েছে সান্তাহার মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা। পোনা উৎপাদনে সফলও হয়েছেন তারা।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের সান্তাহার প্লাবনভূমি উপকেন্দ্রের একটি পুকুরে ভেসে বেড়াচ্ছে বিলুপ্ত প্রায় খরসলা মাছ। এই পুকুরগুলোতে খরসলার মতো ১৯ প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় মাছ সংরক্ষণ করা হয়েছে। নদী-নালা, খাল-বিল থেকে মাছগুলো হারিয়ে গেলেও প্রজননের মাধ্যমে এখান থেকে আবারো পোনা সরবরাহ করা যাবে। তাছাড়া এই মাছগুলো পুকুরে চাষ করেও মেটানো যাবে ছোট মাছের চাহিদা।

নিউজটি শেয়ার করুন



এ জাতীয় আরো খবর..
ইউটিউবে আমরা...
ফেসবুকে আমরা...