×
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত : তারিখ - ২০২৫-০৭-০৩, সময় - ০৯:২০:৩৭বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সাম্প্রতিক ‘ড্রাফট টেলিকম নেটওয়ার্ক ও লাইসেন্সিং রিফর্ম পলিসি ২০২৫’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপি। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উদ্যোগ প্রশংসনীয় হলেও আমরা এই মুহূর্তে এ ধরণের একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে তড়িঘড়ি করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দলের এ অবস্থান ব্যক্ত করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, এই নীতির উদ্দেশ্য হলো লাইসেন্সিং পদ্ধতি সহজ করা, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি উৎসাহিত করা এবং গ্রামীণ জনগণের ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি বাড়ানো- যা অবশ্যই ইতিবাচক একটি বিষয়।
তবে, খসড়া নীতিমালাটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, এতে কিছু গুরুতর সমস্যা রয়েছে যা টেলিকম খাতে সমতাভিত্তিক ও টেকসই উন্নয়নে বাধা দিতে পারে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই নীতিমালায় ছোট ও মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান (SME) এবং স্থানীয় উদ্যোক্তাদের ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। আমরা সরকারকে আহ্বান জানাই, এই গুরুত্বপূর্ণ নীতি বাস্তবায়নের আগে তারা যেন পূর্ণাঙ্গ আর্থিক ও সামাজিক প্রভাব বিশ্লেষণ এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের (SME, বিশেষজ্ঞ, ভোক্তা সংগঠন) সঙ্গে অংশগ্রহণমূলক আলোচনা করার পর নীতিমালা চূড়ান্ত করেন। বিশেষ করে সামনে জাতীয় নির্বাচনকে বিবেচনায় রেখে এই ধরনের একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা এ সময়ে একতরফাভাবে প্রণয়ন করা সমীচীন হবে না বলে বিএনপি বিশ্বাস করে।
এতে বাজারে একচেটিয়া আধিপত্যের ঝুঁকি বাড়বে বলে মনে করেন ফখরুল। তিনি বলেন, একাধিক সেবাখাতে মালিকানা রাখার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে বড় মোবাইল অপারেটররা একাধিক খাতে একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারে। এতে প্রতিযোগিতা কমে যাবে এবং ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো পিছিয়ে পড়বে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার, মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমুখ।
