সংসদ নিবার্চনের আগে নিবন্ধিত দলের সঙ্গে সংলাপের স্বার্থে দ্রুত চলতি
মাসে নতুন দলের নিবন্ধনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত চায় জাতীয় নাগরিক পার্টি
(এনসিপি)। পাশাপাশি প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার পদ্ধতির বিষয়েও খোঁজ নেওয়া
হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির
সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময়
এনসিপির যুগ্ম-আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ, যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম
মুসাসহ তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিলেন।
জহিরুল ইসলাম মুসা বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি দল হিসেবে নিবন্ধন
পাওয়ার জন্য সব শর্ত পূরণ করেই আবেদন করেছিল। সেটি প্রক্রিয়াধীন আছে।
আমরা নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সেক্রেটারির কাছে জানতে চেয়েছিলাম যে সেই
প্রক্রিয়াটি কোন পর্যায়ে আছে। তারা আমাদেরকে আপডেট দিয়েছেন যে ফিল্ড
পর্যায় থেকে ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হয়ে তাদের কাছে রিপোর্টগুলো আসছে। এই
রিপোর্টগুলো কমপ্লাই করার পর তারা সবগুলো বিষয় নিয়ে হয়তো এ মাসের ভেতরে
সব রাজনৈতিক দলের ব্যাপারে, শুধু এনসিপি না অন্য যে কয়টা রাজনৈতিক দল
উত্তীর্ণ হয়েছিল, তাদের যাদের রিপোর্টগুলো পজিটিভ আসবে তাদের সবার
ব্যাপারে এ মাসের ভেতরেই একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবে।
তিনি বলেন, যেহেতু ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে, তার
আগেই সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কমিশনের একটি ধারাবাহিক ডায়ালগের
আয়োজন করতে হবে। সে ডায়ালগের অংশ হিসেবে তারা সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে
বসবেন; বিশেষ করে যারা নতুনভাবে নিবন্ধিত হবেন তাদেরসহ।
প্রবাসীদের ভোট গ্রহণের পদ্ধতি নিয়ে কথা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন,
আপনারা জানেন যে জাতীয় নাগরিক পার্টির শুরু থেকেই আমরা খুবই উচ্চ কণ্ঠে
প্রবাসী ভোটিংয়ের দাবি জানিয়ে এসেছিলাম। সে ব্যাপারেও আমরা একটি আপডেট
জানতে চেয়েছিলাম। আমাদেরকে জানানো হয়েছে যে ইতোমধ্যে কমিশন সিদ্ধান্ত
নিয়েছেন পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে তাদের ভোটগুলো দেওয়ার ব্যবস্থা করা
হবে। কতদিন আগে এই পোস্টাল ব্যালটগুলো পাঠানো হবে এবং কী প্রক্রিয়ায় তারা
আবার ভোটটি সম্পন্ন করে প্রেরণ করবেন, সে বিষয়টিতে আমরা আলোচনা করেছি।
তিনি আরও বলেন, কমিশন থেকে আমাদের যেটা জানানো হয়েছে যে, যারা
বিদেশে বসে ভোট দেবেন এবং বাংলাদেশেও যারা নিজ সংসদীয় আসনের বাইরে থাকবেন,
যারা পেশাগত বা অন্য কোন কারণে বাইরে থাকবেন, তারাও পোস্টাল ব্যালটের
মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন। সেজন্য কমিশনের পক্ষ থেকে একটি অ্যাপস ওপেন করা
হবে এবং ওখানে একটি নির্দিষ্ট সময় দেওয়া থাকবে। নিবন্ধন সম্পন্ন করলে
তাদের আগে থেকেই ব্যালট পেপার পাঠানো হবে এবং ভোটিং সম্পন্ন করে আবার
পোস্টের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সংসদীয় আসনে পাঠাবেন এবং এটি মূল ভোটের যে
কাউন্ট সেটির সঙ্গে গণনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..