×

  • নিউজ ডেস্ক

    প্রকাশিত : তারিখ - ২০২৫-০৭-০১, সময় - ১২:২২:১৮

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, আমরা একসঙ্গে যেসব দল দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছি, তাদের নিয়ে সংস্কারের কথা সবার আগে আমরাই বলেছি।

তিনি বলেন, সংস্কারের কথা ২০১৬ সালে বেগম খালেদা জিয়া ভিশন ২০৩০-এ বলেছিলেন। আমরা তখন যেসব রাজনৈতিক দল একসঙ্গে আন্দোলন করেছিলাম, তারা সবাই মিলে ২০২২ সালে ২৭ দফা দিয়েছিলাম; যা পরে ৩১ দফায় রূপান্তর হয়। সুতরাং সংস্কারের কথা তো সবার আগে আমরাই বলেছিলাম।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপি আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪ : ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন অত্যন্ত সুচতুরভাবে একটা প্রপাগাণ্ডা চালানো হচ্ছে যে বিএনপি নাকি সংস্কার মানছে না এ জন্য সংস্কার হচ্ছে না। মিডিয়ায় ক্যাম্পেইন হচ্ছে, সোস্যাল মিডিয়ায় ক্যাম্পেইন হচ্ছে যে, বিএনপি সংস্কার মানছে না। আমি তাদের অত্যন্ত আন্তরিকভাবে বলতে চাই, দয়া করে আমাদের দফাগুলো একটু ভালো করে দেখেন। আমাদের ৩১ দফায় কী ছিল, আমাদের টিম ঐকমত্য কমিশনের কাছে গিয়ে কী বলছে, মতামত দিচ্ছে। এটা জানা দরকার, না হলে ভুল বোঝাবুঝি হবে।

অনেকগুলো ব্যাপারে ঐকমত্য হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী ১০ বছর থাকার ব্যাপারে একমত হয়েছি, আমরা বলেছি দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট হবে। আমরা রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য, বিচারব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে স্বাধীন করা, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও সংস্কার আনার কথাও বলেছি। সেই বিষয়গুলোকে সেভাবে বিচার না করুন, ব্যাখা করুন। শুধু যেহেতু বিএনপি বড় দল, সেহেতু শুধু বিএনপিকেই দোষারোপ করে কথা বললে সেটা সংস্কারের জন্যে সহায়ক হবে না।

তিনি তরুণদের উদ্দেশে বলেন, আমরা গত ১৫ বছর ধরে তরুণদের ডাক দিয়েছি সভা সমাবেশের মাধ্যমে। আমরা সমাবেশ করেছি, নদী সাঁতরে পার হয়েছি। বিভাগে বিভাগে সমাবেশ করেছি, আমাদের ছেলেরা গুলি খেয়ে মরেছে। সেখান থেকে আমরা ডাক দিয়ে বলেছি, ‘কে আছো জোয়ান, হও আগুয়ান, হাকিছে ভবিষ্যৎ’। কারণ আমরা মনে করি, কেবল তরুণরাই পারে জীবন বাজি রেখে একটা পরিবর্তন আনতে। এই পরিবর্তন তারা এনেছে এবং এ জন্য তাদের আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই।

এর আগে বিকাল ৩টায় কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে শহীদদের জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়, জুলাই-আগস্টে ও গত ১৭ বছরে নিহত ও গুম হওয়াদের স্বরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়, জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়, জুলাই আন্দোলনের ওপর একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। এরপর গুম হওয়া পরিবারের সদস্য, শহীদ পরিবারের সদস্য, সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা এবং বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য রাখেন।

নিউজটি শেয়ার করুন



এ জাতীয় আরো খবর..
ইউটিউবে আমরা...
ফেসবুকে আমরা...