×
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত : তারিখ - ২০২৫-০২-০৯, সময় - ০৯:৩০:০৬বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্যকে ‘অপ্রত্যাশিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত’ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিং করছিলেন তিনি।
রফিকুল আলম বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী (ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা) ভারতে অবস্থান করে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক বক্তব্য দিচ্ছেন, যেটা বাংলাদেশের জনগণ ভালোভাবে নিচ্ছে না। গত ৫ ফেব্রুয়ারি তার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ধানমন্ডির ৩২ নাম্বারে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সেই বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যে অবস্থান পরিষ্কার করেছে। এ বিষয়ে ৬ ফ্রেব্রুয়ারি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি মন্তব্য অন্তর্বর্তী সরকারের নজরে এসেছে।
মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ বক্তব্য প্রদান অপ্রত্যাশিত এবং অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা প্রতিবেশী দেশটিতে নানা ধরনের বিরূপ পরিস্থিতি হতে দেখেছি। কিন্তু বাংলাদেশ কোনো রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সরকারিভাবে কোনো বক্তব্য প্রদান করে না। অন্যদের কাছ থেকেও বাংলাদেশ একই ধরনের আশা প্রকাশ করে।
দিল্লিতে বসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ক্রমাগত মিথ্যা, বানোয়াট মন্তব্য ও বিবৃতি দেওয়ায় ভারতের কাছে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।
গত বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকায় ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করে তার হাতে একটি প্রতিবাদপত্র তুলে দেয়। ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলবের এক দিনের ব্যবধানে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকেও তলব করে দিল্লি। তাকে বলা হয়, শেখ হাসিনা ব্যক্তিগত ক্ষমতায় বক্তব্য দিয়েছেন, যেখানে ভারতের কোনো ভূমিকা নেই।
