×
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত : তারিখ - ২০২২-০৮-১২, সময় - ১০:২০:৪৩‘শেয়ারবাজারকে বিশ্বমানের ডিজিটালাইজড করতে এরইমধ্যে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন পেয়েছি। ফলে এ বছরের শেষের দিকে বা আগামী বছরের শুরুর দিকে সুইস ও ইউরোপিয়ান কনসালটেন্টদের সাহায্যে কাজ শুরু হবে। এতে করে আগামী দুই-এক বছরের মধ্যে দেশের শেয়ারবাজারের চেহারা পাল্টে যাবে। ওইসময় পৃথিবীর যেকোনও প্রান্ত থেকে শেয়ারবাজারের ২৪ ঘণ্টা লেনদেন করা যাবে। তবে ব্যাংক যখন খোলা থাকবে, তখন লেনদেন কার্যকর হবে।’
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ২০২১-২২ অর্থবছরে শীর্ষ ব্রোকারদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিমসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে সিএসইর পর্ষদের কাছে ডিএসইর সঙ্গে লেনদেনের এতো পার্থক্য কেন জিজ্ঞেস করেছিলাম। যেখানে (চট্টগ্রাম) এতো ব্যবসা-বাণিজ্য হয়, সেখানে তো এত কম লেনদেন হওয়ার কথা না। তখন আমি তাদের লেনদেন বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছি।
তিনি বলেন, আজকে যারা পুরস্কৃত হলেন, তাদের অভিনন্দন। নতুন গভর্নর ক্যাপিটাল মার্কেটের প্রতি যত্নবান উল্লেখ করে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, উনি মন্ত্রণালয়ে থাকতেই আমার কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে। যিনি গভর্নরের দায়িত্ব নেওয়ার ১ মাসের মধ্যেই শেয়ারবাজারের ১০ বছরের বিনিয়োগ সীমার সমস্যা সমাধান করে দিয়েছেন। দেশের ক্যাপিটাল মার্কেট ও মানি মার্কেট একসঙ্গে কাজ না করলে দেশের অর্থনীতির মূল লক্ষ্য যে পূরণ হবে না, সেটা উনি বুঝতে পেরেছেন।
চট্টগ্রামে আসার আগে গভর্নরের সঙ্গে আলাপ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিনিয়োগ সীমা থেকে বন্ডকে বাদ দিতে হবে। আপনি ইক্যুইটি মার্কেটে একটি কোম্পানিকে ২০ কোটি, ৫০ কোটি বা ১০০ কোটি টাকা দিতে পারবেন। কিন্তু একটি ভালো টাইলস, টেক্সটাইল, সিমেন্ট ফ্যাক্টরি করতে গেলে ৫০০-১০০০ কোটি টাকা দরকার পড়ে। এই অর্থ যদি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে করা হয়, তাহলে কয়েকটি কিস্তি দিতে না পারলে উভয় প্রতিষ্ঠান বিপদে পড়বে। এ সমস্যা কাটিয়ে তুলতে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন বন্ডের মাধ্যমে করার বিষয়ে গভর্নরের সঙ্গে আলোচনা করেছি। এখন বন্ড কিনতে গেলে আবার আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিনিয়োগ সীমার সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এজন্য যেসব বন্ড গ্যারান্টেড ও অ্যাসেট ব্যাকড থাকবে, সেগুলো বিনিয়োগ সীমার বাহিরে নেওয়া হবে। যেসব ঝুঁকিপূর্ণ বন্ড আছে, সেগুলো হয়তো বিনিয়োগ সীমার মধ্যে থাকবে।
অধ্যাপক শিবলী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে আমাদের এই বাজারকে ক্যাপিটাল মার্কেট মনে করতাম না। কারণ একটি ক্যাপিটাল মার্কেটে যেসব পণ্য থাকা দরকার, তা আমাদের নেই। আমারা ক্যাপিটাল মার্কেট বলতে শুধু ইক্যুইটিকে (শেয়ার) বুঝি।
তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জিডিপির তুলনায় ক্যাপিটাল মার্কেট বড় বলে আমাদের সঙ্গে তুলনা করা হয়। ওইসব দেশে কিন্তু ইক্যুইটি মার্কেট দিয়ে জিডিপির বড় অংশ ক্যাপিটাল মার্কেট হয়নি। অথচ আমাদের দেশে শুধু ইক্যুইটি নির্ভর ক্যাপিটাল মার্কেট।এই পুরস্কারের ব্যবস্থা যেখানে আছে, সেখানে প্রতিযোগিতা আছে। আর প্রতিযোগিতা যেখানে থাকে, সেখানে উন্নয়ন হবেই। যেখানে প্রতিযোগিতা নেই বা একচেটিয়া, সেখানে কখনও ভালো বাজার হয় না। তাই আজকে সিএসই যাদের পুরস্কৃত করে উৎসাহিত করলেন, তারা আগামীতে আরও ভালো করতে চাইবেন। অবস্থা ধরে রাখতে চাইবেন। অন্যদিকে যারা পাননি, তারা আগামীতে পাওয়ার চেষ্টা করবেন।
