×

  • নিউজ ডেস্ক

    প্রকাশিত : তারিখ - ২০২২-০৮-০৫, সময় - ১১:০৭:০৭

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কিছু সদস্য ফেসবুকে সহকর্মী, অধ্যক্ষ ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের গৃহীত সিদ্ধান্তের বিষয়ে অশোভন, অনৈতিক, শিষ্টাচারবহির্ভূত ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এ জন্য এসব কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে মাউশি। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও হুঁশিয়ার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার মাউশি মহাপরিচালসতর্কবার্তায় বলা হয়, দেখা যাচ্ছে, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কিছু সদস্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাদের ব্যক্তিগত ওয়ালে বা বিভিন্ন গ্রুপে সহকর্মী, অধ্যক্ষ এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও কর্তৃপক্ষের নেওয়া সিদ্ধান্তের বিষয়ে অশোভন, অনৈতিক, শিষ্টাচার বহির্ভূত ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। এতে শিক্ষা ক্যাডার, মাধ্যমিক ও শিক্ষা অধিদপ্তর এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমেলা-১৯৭৯, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮, সরকারি চাকরি আইন-২০১৮, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার সংক্রান্ত নির্দেশিকা-২০১৬ এর পরিপন্থী।

একইসঙ্গে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের যে সমস্ত সদস্য ক্যাডারের নাম ব্যবহার করে গ্রুপ খুলেছেন, সব গ্রুপের অ্যাডমিনকে গ্রুপে কন্টেন্ট বা পোস্ট অনুমোদনের ক্ষেত্রে সরকারি আইন বা বিধি প্রতিপালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নোটিশে আরও বলা হয়, কর্মকর্তারা যেসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন, সেসব প্রতিষ্ঠানের প্রধান বিষয়টি মনিটরিং করবেন। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কোনো ব্যক্তি কোনো কন্টেন্ট বা পোস্টে সংক্ষুব্ধ হলে কনটেন্ট বা পোস্ট প্রদানকারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রমাণসহ মাউশিতে আবেদন করতে বলা হয়েছে।

মাউশির মহাপরিচালক নেহাল আহমেদ এ নোটিশ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কিছু কিছু কর্মকর্তা গালাগাল করে ফেসবুকে বক্তব্য দেন, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।ক নেহাল আহমেদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত এক ‘জরুরি নোটিশ’ জারি করা হয়।

নোটিশে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং কর্মচারীদের করণীয় ও বর্জনীয় নির্ধারণ, সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার সংক্রান্ত নির্দেশিকা-২০১৬’ প্রণয়ন করে। এ নির্দেশিকা অনুযায়ী বেশ কিছু বিষয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা যাবে না।

সেগুলো হলো- জাতীয় ঐক্য ও চেতনার পরিপন্থী কোনো রকম কনটেন্ট; কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে এমন বা ধর্ম নিরপেক্ষতার পরিপন্থী কোনো কনটেন্ট; রাজনৈতিক মতাদর্শ বা আলোচনা সংক্রান্ত কোনো কনটেন্ট; বাংলাদেশের বসবাসকারী কোনো ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বা, নৃ-গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক বা হেয় প্রতিপন্নমূলক কনটেন্ট; কোনো ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্রকে হেয় প্রতিপন্ন করে এমন কোনো কনটেন্ট; লিঙ্গ বৈষম্য বা এ সম্পর্কিত বিতর্কমূলক কন্টেন্ট এবং জনমনে অসন্তোষ বা অপ্রীতিকর ঘটনা তৈরি করতে পারে এমন কোনো কনটেন্ট।


নিউজটি শেয়ার করুন



এ জাতীয় আরো খবর..
ইউটিউবে আমরা...
ফেসবুকে আমরা...