×

সর্বশেষ :
শান্তিনগরে ফ্লাইওভার থেকে ককটেল নিক্ষেপ, নারী আহত জানুয়ারিতে বাংলাদেশে আসছে ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে হাদি, সিঙ্গাপুরেই অপারেশন করার অনুমতি পরিবারের ২৫ ডিসেম্বর মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে দেশে আসছেন তারেক রহমান এনসিপি নেত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, নেপথ্যে সাইবার বুলিং! বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ম্যাচের টিকিট কেনা যাবে যত টাকায় খালেদা জিয়াকে নিয়ে আমরা আশাবাদী, তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন: ডা. জাহিদ মোদির ভারতকে এমন শিক্ষা দিয়েছি, যা তারা কোনোদিন ভুলতে পারবে না: পাকিস্তান ২০২৫ সালে প্রায় ৫ লাখ সেনা হারিয়েছে ইউক্রেন: রাশিয়া ইতালিতে দুর্গম পাহাড়ে মিলল হাজার হাজার ডাইনোসরের পায়ের ছাপ

  • নিউজ ডেস্ক

    প্রকাশিত : তারিখ - ২০২২-০৭-২৬, সময় - ১২:০১:৩৪

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে মিশ্র ফলের বাগান গড়ে সফল হয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য জহুরুল ইসলাম। উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের জয়পুর মৌজায় তিনি ‘গ্রিনজোন প্রজেক্ট’ নামে একটি ফল বাগান করেন। মাত্র ৮ বিঘা জমি দিয়ে শুরু করেছিলেন, এখন সেই বাগান ৬০ বিঘায় উন্নীত হয়েছে।

এখন এই সাবেক সেনাসদস্যের বাগানে অর্ধশত শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। প্রতিদিনই তার ফল বাগান দেখতে আসেন অনেক দর্শনার্থী ও উদ্যোক্তা। তার সাফল্য থেকে উৎসাহ পেয়ে এলাকায় অনেকেই গড়ে তুলছেন ফলের বাগান।

জহুরুল ইসলাম বলেন, ২০০৭ সালে তিনি সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন। অবসর জীবনে সময় কাটানোর জন্য তিনি সখের বসে ২০০৯ সালে মাত্র ৮ বিঘা জমিতে উপজেলায় প্রথম হাড়িভাঙ্গা প্রজাতির আমের বাগান দিয়ে তার ফল বাগানের যাত্রা শুরু করেন। আমের বাগানে লাভবান হওয়ায় আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। পরবর্তী সময়ে তিনি পর্যায়ক্রমে তার বাগানে থাইপেয়ারা, ড্রাগন, ত্বিন ফল, মিশরীয় মাল্টা, কাশ্মিরী কমলা, দার্জিলিং কমলা, চায়না কমলা, আনার, কাটিমন আম, গৌরমতি আম, সুর্যডিম আম, অ্যাভোকাডোসহ প্রায় ২৩ ধরনের ফলগাছ সংযুক্ত করেন।

বর্তমানে তার বাগানে ৬ হাজার ড্রাগন ফলের গাছসহ মোট ১৮ হাজার ফলের গাছ রয়েছে। গাছে গাছে সোভা পাচ্ছে বাহারি ফল। বর্তমানে তার বাগানে উৎপাদিত ড্রাগন, থাইপেয়ারা এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি হচ্ছে। তার বাগানে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন শ্রমিক সারাবছর কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।

আগামী বছর থেকে তিনি তার বাগান থেকে কোটি টাকা লাভের আশা করছেন। ভবিষ্যতে তার ফল বাগানে আরও দেশি-বিদেশি ফল সংযুক্ত করে একটি ফল গবেষণা কেন্দ্র ও ফল প্রদর্শনী পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখছেন।

বাগান সংলগ্ন চামুন্ডা গ্রামের বাসিন্দা আ. মান্নান বলেন, জহুরুল ইসলাম তার বাগানটিতে নতুন নতুন অচেনা বিদেশি পুষ্টিকর বিষ মুক্ত ফলের চাষ করছেন। তার বাগানের মাধ্যমে এলাকায় একটি কৃষি বিপ্লব ঘটেছে। পাশাপাশি অনেক দরিদ্র অসহায় পরিবারের কর্ম সংস্থান হয়েছে। তার সাফল্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় এখন অনেকেই ফলবাগান তৈরি করছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জহুরুল ইসলাম তার বাগানে বিভিন্ন প্রজাতির দেশি-বিদেশি ফলের চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। তার এই মিশ্র ফল বাগান দেখে এখন এলাকায় অনেক উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তাকে সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন



এ জাতীয় আরো খবর..
ইউটিউবে আমরা...
ফেসবুকে আমরা...