জুলাই গণঅভ্যুত্থানকালে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলাগুলো ছাড়া বাকি সব হত্যা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। একইসঙ্গে এসব মামলার প্রসিকিউশন কার্যক্রম তদারকিতে গঠন করা হয়েছে একটি বিশেষ কমিটি।

আইন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্দেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যার অভিযোগে এ পর্যন্ত ৮৩৭টি মামলা রেকর্ড হয়েছে। এর মধ্যে ৪৫টি মামলার বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। 

অন্যদিকে, পুলিশের তদন্ত শেষে ১৯টি হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল হয়েছে। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইন ২০০০-এর ১০ ধারার বিধান অনুযায়ী এসব মামলার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হবে। পাশাপাশি হত্যাসহ গুরুতর অপরাধের মামলাগুলোর প্রসিকিউশন কার্যক্রম আরও কার্যকর করতে আইন ও বিচার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে বিশেষ কমিটি গঠন করেছে আইন মন্ত্রণালয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিটি মামলাগুলোর পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত করবে, প্রসিকিউশনের কার্যক্রমে বিদ্যমান সমস্যা চিহ্নিত করে সরকারের কাছে সুপারিশ পাঠাবে এবং অগ্রগতির বিষয়ে ভূক্তভোগী পরিবার ও জনগণকে অবহিত করবে।

কমিটির কর্ম-পরিধি নির্ধারণ করা হয়েছে:

• কমিটি জুলাই গণঅভ্যুত্থানকালে দেশব্যাপী চলমান ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাসহ অপরাপর গুরুতর অপরাধের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার পূর্ণাঙ্গ তালিকা সংগ্রহ করবে (মামলার বর্তমান পর্যায় উল্লেখসহ)।

• এরূপ মামলার মধ্যে যেসব মামলায় চার্জশীট দাখিল হয়েছে, সেসব মামলায় (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলা ব্যতীত) প্রসিকিউশনের কার্যক্রম পরিচালনায় বিদ্যমান সমস্যা চিহ্নিত করবে (যদি থাকে) এবং উক্ত সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে কমিটি প্রয়োজনীয় সুপারিশ সরকারের নিকট প্রেরণ করবে।

• কমিটি কার্যক্রম বিষয়ে ভূক্তভোগী পরিবার ও দেশবাসীকে সময়ে সময়ে অবহিত করবে।