×

  • নিউজ ডেস্ক

    প্রকাশিত : তারিখ - ২০২৫-১২-২২, সময় - ০৫:৪৬:৪৮
সম্প্রতি জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার ছাড়াও দু’টি সাংস্কৃতিক সংগঠনের কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অন্তত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারদের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে সাতজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা হলেন- মো. কাশেম ফারুক, মো. সাইদুর রহমান, রাকিব হোসেন, মো. নাইম, ফয়সাল আহমেদ প্রান্ত, মো. সোহেল রানা ও মো. শফিকুল ইসলাম।

এই পাঁচজন ছাড়াও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট (সিটিটিসি) ও গোয়েন্দা পুলিশ আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে তাদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

গ্রেপ্তারদের মধ্যে কাশেম ফারুক বগুড়ার আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া কাসেমুল উলুম মাদরাসার সাবেক ছাত্র ও ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা। আর মো. সাইদুর রহমান ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নোয়াকান্দা গ্রামের বাসিন্দা।

এদিকে গ্রেপ্তার শেরপুরের বাসিন্দা রাকিব হোসেন প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হিসেবে ভিডিও ফুটেজে শনাক্ত হয়েছেন। তার ফেসবুক আইডি থেকে ধ্বংসস্তূপের ছবি তুলে পোস্ট করা হয়। এছাড়াও তিনি ফেসবুকে উসকানিমূলক পোস্টও করেন।

অন্যদিকে ঢাকার তেজগাঁওয়ের কুনিপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. নাইমকে সাম্প্রতিক এ ঘটনায় লুট হওয়া ৫০ হাজার টাকাসহ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাইম স্বীকার করেছে, সে মোট ১ লাখ ২৩ হাজার টাকা লুট করেছে। লুট করা টাকা দিয়ে ইতোমধ্যে সে মোহাম্মদপুর থেকে একটি টিভি ও একটি ফ্রিজও কিনেছিলেন, যা ইতোমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে।

এছাড়াও ঢাকার কারওয়ান বাজার রেললাইন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার মো. সোহেল রানার বিরুদ্ধে মাদকসহ অন্যান্য আইনে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে। আর একই এলাকা থেকে গ্রেপ্তার মো. শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অতীতে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দু’টি মামলা রয়েছে। অন্যদিকে গ্রেপ্তার অন্য দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রোববার (২১ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক এসব ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে প্রাথমিকভাবে ৩১ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও চট্টগ্রামে ভারতের সহকারী হাইকমিশনারের বাসভবনের নিকটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টাকারীদের মধ্যে ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে তিনজনকে শনাক্ত করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন



এ জাতীয় আরো খবর..
ইউটিউবে আমরা...
ফেসবুকে আমরা...