×
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত : তারিখ - ২০২৫-১২-১৮, সময় - ১১:৫৫:৪৩নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেত্রী জান্নাত আরা রুমির (৩০) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর জিগাতলার একটি ছাত্রী হোস্টেল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, কার্যক্রমনিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের হুমকি ও সাইবার বুলিংয়ের কারণে রুমি আত্মহত্যা করেছেন
জান্নাত আরা রুমি ধানমন্ডি থানা এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী ছিলেন। তাঁর বাড়ি নওগাঁর পত্নীতলায়। তাঁর বাবার নাম জাকির হোসেন।
হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, 'ভোর চারটার দিকে জান্নাতারা রুমীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে মরদেহ ঢাকা মেডিকেলের মর্গে পাঠানো হয়েছে।'
থানার পরিদর্শক (অপারেশন) দেলওয়ার হোসেন বলেন, 'জান্নাতারা রুমী এনসিপির ধানমন্ডি শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী ছিলেন। প্রাথমিকভাবে আমাদের ধারণা, আত্মহত্যা হতে পারে।'
হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, এনসিপির নেত্রী জান্নাত আরা বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। তিনি জিগাতলার ওই ছাত্রী হোস্টেলের একটি কক্ষে একা থাকতেন।
আজ সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ওই হোস্টেলে যায়। ওসি বলেন, পরিচারিকা ডাকাডাকির পর দরজায় ধাক্কাধাক্কি করেন। এ সময় হার্ডবোর্ডের দরজার ছিটকানি খুলে যায়। পরে পুলিশ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় জান্নাত আরার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এদিকে জান্নাত আরার মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দেন এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব তারেক রেজা। সেখানে তিনি জানান, গত মাসে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রায়ের দিন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জিয়ার কবর খুঁড়তে চাওয়া রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের একজনকে পিটিয়ে পুলিশের কাছে দিয়েছিলেন জান্নাত আরা। এর পর থেকে আওয়ামী লীগ জান্নাত আরাকে সাইবার বুলিং, হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি দিচ্ছিলেন বলে তারেক রেজা তাঁর পোস্টে জানান। ওই পোস্টে তারেক রেজা আরও লেখেন, এ কারণে জান্নাত আরা রাতে আত্মহত্যা করেছে।
ফেসবুকে দেওয়া ওই পোস্টে তারেক রেজা আরও লিখেছেন, ‘এটাকে আমরা আত্মহত্যা হিসেবে দেখতে রাজি নই। এটা খুন। যারা আমার বোনের জীবনকে তছনছ করে দিয়েছে, তাদের জীবন আমরা শান্তিতে কাটাতে দেব না।’
