×

সর্বশেষ :
শান্তিনগরে ফ্লাইওভার থেকে ককটেল নিক্ষেপ, নারী আহত জানুয়ারিতে বাংলাদেশে আসছে ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে হাদি, সিঙ্গাপুরেই অপারেশন করার অনুমতি পরিবারের ২৫ ডিসেম্বর মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে দেশে আসছেন তারেক রহমান এনসিপি নেত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, নেপথ্যে সাইবার বুলিং! বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ম্যাচের টিকিট কেনা যাবে যত টাকায় খালেদা জিয়াকে নিয়ে আমরা আশাবাদী, তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন: ডা. জাহিদ মোদির ভারতকে এমন শিক্ষা দিয়েছি, যা তারা কোনোদিন ভুলতে পারবে না: পাকিস্তান ২০২৫ সালে প্রায় ৫ লাখ সেনা হারিয়েছে ইউক্রেন: রাশিয়া ইতালিতে দুর্গম পাহাড়ে মিলল হাজার হাজার ডাইনোসরের পায়ের ছাপ

  • নিউজ ডেস্ক

    প্রকাশিত : তারিখ - ২০২৫-০৩-১২, সময় - ১১:৩৭:৪৪

মাহে রমজান কোরআন নাজিলের মাস, রহমত বরকতের মাস, ক্ষমালাভের মাস। আল্লাহ তাআলার কাছে রোজাদারের মর্যাদা অনেক। প্রিয়নবী (স.) ইরশাদ করেন- ‏إِذَا دَخَلَ شَهْرُ رَمَضَانَ فُتِّحَتْ أَبْوَابُ السَّمَاءِ وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ جَهَنَّمَ وَسُلْسِلَتِ الشَّيَاطِين ‘যখন রমজান মাস প্রবেশ করে, বেহেশতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়, জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয় এবং শয়তানদেরকে শৃঙ্খলিত করা হয়।’

হাদিসে কুদসিতে মহান আল্লাহ বলেন, ‘মানুষের প্রতিটি কাজ তার নিজের জন্য, কিন্তু রোজা এর ব্যতিক্রম। রোজা শুধু আমার জন্য, আমিই এর প্রতিদান দেব।’ (মুসলিম: ২৭৬০) অন্য হাদিসে এসেছে, ‘রোজাদারের মুখের ঘ্রাণ আল্লাহর কাছে মিশকের চেয়েও সুগন্ধিময়…।’ (বুখারি: ১৯০৪, মুসলিম: ২৭৬২)

কিন্তু এতকিছুর পরও কিছু মানুষের রোজা মূল্যহীন হয়ে যাবে। তাদের রোজা কোনো কাজে আসবে না। তারা কারা? তারা হলো পাপাচারকারী। রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি রোজা রেখেও অশ্লীল কাজ ও পাপাচার ত্যাগ করতে পারল না, তার পানাহার ত্যাগ করার কোনো মূল্য নেই।’ (বুখারি: ৬০৫৭, ইবনে মাজাহ: ১৬৮।

অন্য হাদিসে এসেছে, ‘অনেক রোজাদার এমন আছে যে, তাদের রোজা থেকে উপোস ছাড়া আর কিছুই অর্জিত হয় না। আর অনেক রাত জেগে ইবাদতকারী এমন আছে যে, তাদের সে ইবাদত থেকে রাত জাগরণ ছাড়া আর কিছুই থাকে না।’ (মেশকাত: ১১৭) বুখারির এক বর্ণনায় এসেছে, ‘যে ব্যক্তি রোজা রেখে মিথ্যা কথা বলা ও তা আমল করা পরিহার করল না, তার পানাহার বর্জন আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই’ (বুখারি: ১৯০৩)

মিথ্যা কথা ও মন্দ কাজ পরিত্যাগ না করলে তার পানাহার বর্জনে আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই—এর ব্যাখ্যা হলো, রোজার উদ্দেশ্য হচ্ছে মনোবাসনাকে পরিত্যাগ এবং কুমন্ত্রণাদানকারী আত্মাকে বশে আনা। অতএব রোজা রেখে যখন এর উদ্দেশ্য অর্জন করা যায়নি তখন সেই রোজার পরোয়া আল্লাহ করেন না। অতএব আল্লাহর প্রয়োজন না হওয়ার অর্থ দাঁড়াল, আল্লাহ তাআলা তার রোজার প্রতি ভ্রুক্ষেপ করেন না এবং কবুল করেন না। (ফয়জুল কালাম: ৩৯৮)

মিথ্যাচার ও গিবতের কারণে রোজার সওয়াব ও গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়। রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন—‘রোজা হলো (জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচার) ঢাল, যে পর্যন্ত না তাকে বিদীর্ণ করা হয়। জিজ্ঞাসা করা হলো, ইয়া রাসুলুল্লাহ, কিভাবে রোজা বিদীর্ণ হয়ে যায়? নবী করিম (স.) বললেন, মিথ্যা বলার দ্বারা অথবা গিবত করার দ্বারা।’ (আলমুজামুল আওসাত, তাবারানি: ৭৮১০; নাসায়ি:।

নিউজটি শেয়ার করুন



এ জাতীয় আরো খবর..
ইউটিউবে আমরা...
ফেসবুকে আমরা...