ফুটবল বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন পূরণ থেকে বহু ক্রোশ দূরে বাংলাদেশ দল। তাই বলে উন্মাদনা প্রকাশে মোটেও পিছিয়ে নন বাংলাদেশের ভক্ত-সমর্থকরা। বিশ্বকাপ শুরু হলেই মোটাদাগে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল দলে ভাগ হয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠেন। এমন উন্মাদনারই প্রতিদান পাচ্ছেন বাংলাদেশের মানুষ।
দর্শকদের ক্রেজকে মাথায় রেখেই এবারও বাংলাদেশে বিশ্বকাপ ট্রফি পাঠাচ্ছে ফিফা। বৈশ্বিক ট্যুরের অংশ হিসেবে আগামী ১৪ জানুয়ারি ঢাকায় পৌঁছাবে ২০২৬ বিশ্বকাপের মূল ট্রফি। ট্রফিটি নিয়ে আসছে পানীয় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কোকা-কোলা।
বাংলাদেশে একদিনই থাকবে বিশ্বকাপের ট্রফি।
সেদিন কাছ থেকে দেখার এবং ছবি তোলার সুযোগ পাবেন দর্শকরা। এ জন্য একটা ক্যাম্পেইন চালু করেছে কোকা-কোলা। ইন্টারঅ্যাকটিভ ‘আন্ডার দ্য ক্যাপ’ প্রোমো ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনে অংশ নিতে দর্শকদের এক লিটার কোকা-কোলা কিনে বোতলের লেবেলে থাকা কিউআর কোড স্ক্যান করতে হবে।
স্ক্যান করা মাত্রই ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি ট্যুরের ওয়েবপেজে নিয়ে যাবে। এরপর ক্যাপের নিচে থাকা ইউনিক কোডটি জমা দিয়ে বিশ্বকাপ সম্পর্কিত একটি কুইজের সঠিক উত্তর দিলে প্রতি ঘণ্টায় সবেচেয়ে দ্রুত সঠিক উত্তরদাতারা ট্রফি দেখার টিকেট জিতবেন। ক্যাম্পেইন ইতিমধ্যে গত ১৫ নভেম্বর ২০২৫ থেকে শুরু হয়েছে। শেষ হবে আগামী ৮ জানুয়ারি ২০২৬ সালে। প্রতি ৯০ মিনিটে একটি টিকিট জেতার সুযোগ পাচ্ছেন প্রত্যেকে।
বাংলাদেশে ট্রফি আনার বিষয়ে কোকা-কোলা কোম্পানির ভাইস প্রেসিডেন্ট (গ্লোবাল অ্যাসেটস, ইনফ্লুয়েঞ্জারস অ্যান্ড পার্টনারশিপস) মিকায়েল ভিনে বলেছেন, ‘ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি ট্যুরের সৌজন্যে ভক্তদের হৃদয়ের কাছাকাছি নিয়ে আসতে পেরে আমরা আনন্দিত। এবারের ট্যুরটি বিশেষ, কারণ ফুটবলের উত্তেজনা ও আবেগকে খুব কাছ থেকে অনুভব করার মুহূর্ত। একটি ফুটবল ম্যাচ দেখার সময় যে আবেগ ও উন্মাদনা তৈরি হয় তা উদযাপনের জন্য ভক্তদের আমন্ত্রন জানাচ্ছি। তারই ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশে ফিফার আসল ট্রফি এনে উন্মাদনা ও প্রত্যাশা তৈরি করা হচ্ছে।’
১৫০ দিনের ট্যুরে ফিফার ৩০ টি সদস্য দেশের ৭৫ টি স্থানে ট্রফিটি প্রদর্শিত হবে। এ ছাড়া পাঁচটি সংস্করণে ইতিমধ্যে ফিফার ২১১ সদস্যে দেশের মধ্যে ১৮২টিতে সফর করেছে।
এ জাতীয় আরো খবর..