×
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত : তারিখ - ২০২৫-০৩-১৮, সময় - ১০:৪৭:১৯প্রকল্পের মেয়াদ বেড়েছে; কিন্তু খরচ না বাড়ানোয় ধীরগতিতে চলছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ। ২০২৬ সালের জুন মাসে এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় বলছে, কাজ শেষ হতে আরও একবছর সময় বাড়ানো হয়েছে। তবে বাড়ছে না খরচ। যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন না হলে এক্সপ্রেসওয়েতে বাড়বে দায়-দেনা।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প ২০০৯ সালে নেওয়া হয়। এর দু’বছর পর প্রথমে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইতাল-থাইয়ের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের আট হাজার ৭০৩ কোটি টাকার চুক্তি হয়। মেয়াদ ছিল সাড়ে তিন বছর। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাঝে মালিকানা দ্বন্দ্বের জেরে অর্থায়ন নিয়ে দেখা দেয় জটিলতা। এ নিয়ে দীর্ঘসময় ধরে অচলবস্থায় প্রকল্পটি। পরবর্তীতে নকশায় কিছু পরিবর্তন এবং ২৩৭ কোটি টাকা বাড়িয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের চুক্তি সংশোধন করা হয়।
আনুষঙ্গিক কাজ শেষে ২০২২ সালের ১২ নভেম্বর, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ শুরু হয়। যার মূল লক্ষ্য ছিল রাজধানীর যানজট নিরসন। আর ২০২৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকার কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত এবং পরে ২০ মার্চ কারওয়ান বাজার পর্যন্ত খুলে দেওয়া হয়।
জুলাই আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর কাজ বন্ধ থাকলেও গেল নভেম্বরে ফের শুরু হয় কাজ। তবে সম্প্রতি প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কাজের গতি খুব কম। পূর্বে তৈরি করা পিলারগুলোর শেষদিকের কাজেই ব্যস্ত শ্রমিকরা। বলছেন, আগে এই প্রকল্পে কাজ করতেন কয়েক হাজার শ্রমিক। তবে উপরের নির্দেশে বর্তমানে কাজ করছে মাত্র ২০০ থেকে ৩০০ জন।
শ্রমিকদের মধ্যে একজন বলেন, কোম্পানি দুই দিন খোলে আবার ছয়মাস বন্ধ থাকে। গত রোজার ঈদের আগে বন্ধ দিয়েছে, তারপর আট মাস পর আসলাম। এসে দুইমাস হচ্ছে কাজ করছি এখন তো লোকই নাই, ২০ থেকে ২৫ জন আছি। আগে ছয় থেকে সাত হাজার লোক ছিল।
