ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বাংলাদেশ
ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক
সম্পাদক প্রার্থী ফাতিমা তাসনিম জুমা নিজেই ‘শিবিরের বট আইডির অ্যাটাক’ এর
শিকার হয়েছিলেন।
ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে নিজের সাইবার বুলিয়িংয়ের শিকার হওয়ার কথা
জানান জুমা। তিনি বলেন, ‘শিবিরের বট আইডির এটাক (অ্যাটাক) আমিও কম খাই নাই।
মোটামুটি সবার রুট লেভেলই সেইম, বাম বাদে।’
ফাহমিদাকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া আলী হুসেনের শিবিরের সঙ্গে রাজনৈতিক
সম্পৃক্ততা নিয়ে শেষ তিন দিনে কম জলঘোলা হয়নি। যদিও ঢাবি শিবির ও শিবিরের
কেন্দ্রীয় কমিটি একাধিক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের সঙ্গে আলীর কোনো
সম্পৃক্ততা নেই।
তবে জুমা প্রসঙ্গটা টেনেছেন অন্যদিকে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, নারীকে
কটুকথা বলে হেয় করেছেন অন্য দলের আরেক নারী নেত্রী, তখন তা নিয়ে আলোচনা
হয়নি, এখন কেন হচ্ছে?
তিনি বলেন, ‘এদিকে একটা দলের মনসুরার মতো পোস্টেড নেত্রী সেবাদাসী
বললে কোনো প্রতিবাদ হয় না; কিন্তু কে কাকে সমর্থন করসে সেটা নিয়ে তারে নেতা
বানাইয়া ফাঁসি চাওয়া যাবে।’
ওই পোস্টে তিনি আরও লেখেন, ‘স্লাটশেমিং এর ব্যাপারে আমি কোনো প্যানেলে
যাওয়ার আগে একবার শিবিরের এক নেতাকে একটা ইস্যু এড্রেস করেছিলাম। তার
এপ্রোচ কী। আর আমার সাথে হওয়া অন্যায়ের ব্যাপারে অবগত করার পরেও আরেক দলের
নেতার এপ্রোচ কী। যারা পার্থক্য দেখাতে বলসেন, নেন।
দেখাইলাম।’
এদিকে, সাম্প্রতিক বিষয় নিয়েও কথা বলেছিলেন ডাকসুর এই প্রার্থী। তিনি
বলেন, আমার কাছে ৬০০+ স্ক্রিনশট রয়েছে যেখানে ছাত্রদল-বাগছাসের
নেতাকর্মীরা আমাকে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন। এমনকি আমাকে নিয়ে অশ্লীল
ভিডিও বানানো হয়েছে। আজকে এক নারী প্রার্থীকে গণধর্ষণের হুমকির প্রতিবাদ
হওয়া জরুরি।
কিন্তু সেটা যদি হয় তাহলে আমার ঘটনাগুলোতে কেন হবে না? আমার প্রশ্ন এখানে।
এদিকে, স্ট্যাটাসে কয়েকটি স্ক্রিনশট সংগ্রহ করে জুমা লেখেন, ছাত্রদল,
বাগছাস, বামপন্থী ও লীগের ৬৯৪টি স্ক্রিনশট সিলেক্টিভ প্রতিবাদীদের মুখে
ছুড়ে দিতে পোস্ট করব, নাকি ড্রাইভ লিংক করে দিব পরামর্শ দিন। আর যেসব
সুশীলরা বলতেছেন গণধর্ষণ খারাপ ওয়ার্ড, …. ভালো ওয়ার্ড তাদের হিপোক্রেসি ও
বাইর কইরা ছাড়ব।
এ জাতীয় আরো খবর..