আগামী ২৯ আগস্ট ওপার বাংলার প্রেক্ষাগৃহে আসছে অনিলাভ চ্যাটার্জির নতুন
ছবি ‘বেলা’। ছবির প্রধান চরিত্রে আছেন নন্দিত অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
বেলা দে নামের এক সংগ্রামী নারীকে নিয়েই সিনেমার গল্পপট; আর সেই চরিত্রেই
দেখা যাবে ঋতুপর্ণাকে। নায়িকা জানালেন, সেই বেলার জীবনের সঙ্গে মিলে গেছে
তার নিজেরও জীবন।
সমাজের বাধা ভেঙে নিজের জায়গা তৈরি করেন বেলা, আর একইভাবে নাকি
বাস্তব জীবনে ঋতুপর্ণাকেও পেরোতে হয়েছে অনেক লড়াই। সম্প্রতি ভারতীয়
গণমাধ্যমে এসবই জানালেন নায়িকা।
ঋতুপর্ণা জানান, তার পরিবারের প্রায় সবাই সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। সেখানে পরিবারের মেয়ে অভিনেত্রী হবে, তা চাননি ঋতুপর্ণার বাবা।
ঋতুপর্ণা বলেন, “অনেক লড়াই করতে হয়েছে আমাকে। প্রযোজকেরা ফোন করতেন।
বাবা ফোন তুলে বলে দিতেন, ‘না, আমার মেয়ের কোনো আগ্রহ নেই সিনেমায়। এখানে
আর ফোন করবেন না’। উনি চাইতেন আমিও আইএএস, আইএফএস অফিসার হই।”
তবে এক্ষেত্রে তার মা অনেকাংশে সাহায্য করেছিলেন বলে জানান ঋতুপর্ণা; এখানেও বেলার জীবনের সঙ্গে অনেক মিল রয়েছে ঋতুপর্ণার।
যেমন বেলার মা চেয়েছিলেন মেয়ে প্রতিষ্ঠিত হোক, তেমনই ঋতুপর্ণার মা-ও
তাকে সাহস জুগিয়েছেন। তবে ‘বেলা’ ছবির শুটিং চলাকালীনই অসুস্থ হয়ে পড়েন
ঋতুপর্ণার মা। শুটিং আর হাসপাতালে ছুটোছুটি— দুই সামলাতে হয়েছে
অভিনেত্রীকে।