×
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত : তারিখ - ২০২২-১১-১৮, সময় - ১২:০১:০৪ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন যে, নিরাপদ জীবনের খোঁজে প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার মানুষ রাজধানী ঢাকায় চলে আসছেন। বুধবার মিসরের শারম-আল-শেখ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে এসডিজি ৭ প্যাভিলিয়নে আয়োজিত এক আলোচনায় মেয়র এমন তথ্য দেন।
উত্তর সিটি করপোরেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ওই আলোচনায় মেয়র বলেছেন, “দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা, খরা, নদীভাঙন, লবণাক্ততা প্রভৃতির কারণে বিপুলসংখ্যক ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ নিরাপদ জীবনের খোঁজে প্রতিদিন রাজধানী ঢাকায় চলে আসছে। প্রতিদিন গড়ে ২ হাজার মানুষ ঢাকায় আসছে। শহরের মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বেশিরভাগই বস্তিতে বসবাস করছে এবং ফুটপাতে ব্যবসা খুলে বসছে। শহরের খালি জায়গা, সবুজ স্থান ও জলাশয়ে আবাসন গড়ে তোলা হচ্ছে।”
মেয়র আতিক বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ অন্যতম। অবিলম্বে পদক্ষেপ না নিলে জলবায়ু পরিবর্তনে বিপর্যয় বাড়তেই থাকবে। আমরা ঢাকা শহরের পরিবেশ রক্ষায় কাজ করছি। এরই মধ্যে ২৪টি পার্ক ও খেলার মাঠ নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, “গত মাসে ‘ইউনাইটেড ইন বিল্ডিং ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স’ বিভাগের অধীনে সি-৪০ সিটিস ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে আমাদের প্রচেষ্টা স্বীকৃতি পেয়েছে। সবুজ স্থান সম্প্রসারণের প্রতি আমাদের দৃষ্টি এবং প্রতিশ্রুতি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে একটি সবুজ, আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং বসবাসযোগ্য শহর তৈরি করেছে।”
ঢাকা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রথম সারিতে রয়েছে জানিয়ে মেয়র আতিক বলেন, “আমরা ঢাকা উত্তরে এই জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান খুঁজে বের করার জন্য কাজ করছি। আমি বিশ্বাস করি পার্ক, খেলার মাঠ এবং সবুজ স্থানের মতো ভৌত অবকাঠামো আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখবে।”
উল্লেখ্য, এর আগেও (১১ জুন) বুয়েটের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ আয়োজিত ‘নগরে নিম্নবিত্তের আবাসন-বাস্তবতা ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে মেয়র আতিক বলেছিলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার মানুষ ঢাকা শহরে চলে আসছেন। ক্রমাগত নিম্ন আয়ের মানুষের সংখ্যা ঢাকা শহরে বেড়েই চলছে।”ওপেন স্পেসগুলো দখলমুক্ত করতে পদক্ষেপ নিচ্ছি। খালগুলো উদ্ধার করে পানির প্রবাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। বৃক্ষরোপণ করা হচ্ছে। ছাদবাগান করার জন্য জনগণকে উৎসাহিত করছি। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে ব্যবহার করার জন্য জনগণকে সচেতন করছি। এসব পদক্ষেপ শহরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখছে।”
