×
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত : তারিখ - ২০২১-১০-০৭, সময় - ১২:০৯:৫৬রাজধানীর মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ছাত্রী আনুশকা নূর আমিনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। এমনকি তার শরীরে ‘ফরেন বডি’ ব্যবহারের আলামতও মিলেছে। চাঞ্চল্যকর এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে ডিএনএ রিপোর্টে। শিগগির এ মামলায় চার্জশিট দেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা যুগান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রসঙ্গত, আনুশকা নূর আমিন রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষাথী ছিলেন। তার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় গত ৭ জানুয়ারি। ওইদিন দুপুরে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কলাবাগান থানায় ফোন করে জানায়, এক তরুণ এক কিশোরীকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় এনেছেন।
কিশোরীর শরীর থেকে রক্ত বের হচ্ছে। কলাবাগান থানা পুলিশ আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল গিয়ে ইফতেখার ফারদিন দিহান নামে ওই তরুণকে আটক করে। খবর পেয়ে তার তিন বন্ধু হাসপাতালে গেলে পুলিশ তাদেরও আটক করে। এর আগে আনুশকার মাকে দিহান ফোন করে জানান, আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে তার মেয়ে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। মূলত ইফতেখার ফারদিন দিহান ছিল আনুশকার বন্ধু। চাঞ্চল্যকর এ মামলায় গ্রেফতার হয়ে সে কারাগারে আছে।
মামলাটির তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) আহসান হাবিব পলাশ বুধবার বলেন, ‘মামলাটি এখনো তদন্তাধীন। তবে তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আশা করছি দুই সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত কাজ শেষ হবে। সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে চার্জশিট দেওয়া হতে পারে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তবে কার বিরুদ্ধে কতটুকু অভিযোগ প্রমাণ হচ্ছে- তা এখনই বলা যাচ্ছে না। আরও কিছু কাজ বাকি আছে। সেগুলো বিচার বিশ্লেষণ করে পরবর্তীতে বলা যাবে।’
সূত্র জানায়, আনুশকার ডিএনএ রিপোর্ট নিয়ে কাজ করার সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ছিলেন ডা. সোহেল মাহমুদ। বর্তমানে তিনি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান হিসাবে কর্মরত।
আনুশকার রিপোর্টের বিষয়ে জানতে চাইলে বুধবার তিনি বলেন, ‘ডিএনএ রিপোর্টটি ইতোমধ্যে দেওয়া হয়েছে। সেখানে আমরা ধর্ষণের আলামত পেয়েছি। পাশাপাশি ফরেন বডি ইনট্রোডাকশানও পাওয়া গেছে।’
