×

  • নিউজ ডেস্ক

    প্রকাশিত : তারিখ - ২০২১-০৮-১৩, সময় - ০৬:৩২:২১

দেশে দুই ধরনের টিকা উৎপাদনের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। একটি স্বল্প মেয়াদী, অন্যটি দীর্ঘ মেয়াদী। এই মুহূর্তে দেশে যে চাহিদা সেটার জন্য স্থানীয়ভাবে কিছু কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে, যাদের টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা আছে। পুরো ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবে এসেনসিয়াল ড্রাগস। তবে বর্তমানে দ্রুততম সময়ে স্বল্প মেয়াদী করোনার ভাইরাসের টিকা উৎপাদনের জন্য দেশীয় যোগ্য কোম্পানিকে বেঁছে নেওয়া হবে। বিদেশে একাধিক কোম্পানির সাথে কথা হয়েছে। এদেশে যেসকল কোম্পানির টিকা উৎপাদন করার সক্ষমতায় রয়েছে, ওই সকল কোম্পানিদের মধ্যে একটিকে উৎপাদনের দায়িত্ব দেওয়া হবে। বিদেশ থেকে কাঁচামাল এনে করোনা ভাইরাসের টিকা উৎপাদন করা হবে।

এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি হলো বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। টিকার কারখানার জন্য জমি অধিগ্রহণও প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। প্রাথমিক অনুমোদন পাওয়ার পর জমি অধিগ্রহণসহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য কাজও শুরু হয়েছে। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য শিগগিরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কারিগরি কমিটি প্রস্তাব পাঠাবে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর টিকা উৎপাদনের কাজ পুরোদমে শুরু হবে। একই সুবিধায় পরবর্তীতে যে কোন সংক্রমণের টিকা সর্বাধুনিক এই কারখানা থেকে উৎপাদন করা যাবে। এই টিকা কারখানাটি সরকারিভাবে পরিচালিত হবে। অনুমোদনের পর টিকার নামকরণ করা হবে।

দ্রুততম সময়ের মধ্যে দেশে করোনার টিকা উৎপাদনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন টিকা উৎপাদন কারখানা হচ্ছে গোপালগঞ্জে সরকারি এসেনসিয়াল ড্রাগস এর ওষুধ কারখানা পাশে। আর দীর্ঘমেয়াদী টিকা উৎপাদনের ক্ষেত্রে আরও আড়াই থেকে তিন বছর সময় লাগবে। গোপালগঞ্জে এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানির পাশেই টিকা উৎপাদন কারখানার জন্য আট একর জায়গা অধিকরণ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বৃহত্তর এই প্রতিষ্ঠানের ৯৮ ভাগ জমিই ইতিমধ্যে অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এখানে স্থায়ীভাবে ভ্যাকসিন উৎপাদন করা হবে। এই কারখানায় থাকবে সর্বাধুনিক ল্যাব ও গবেষণার সার্বিক ব্যবস্থাপনা। শুধু করোনা নয়, যেকোনো মহামারি হলে সেই মহামারীর ভ্যাকসিন তৈরির করাসহ সকল ধরনের ভ্যাকসিন উৎপাদনের সক্ষমতা থাকবে এই প্রতিষ্ঠানে।

এসেনসিয়াল ড্রাগস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডা. এহসানুল কবির জগলুল জানান, দেশে করোনার টিকা উৎপাদনের প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনের জন্য তার কাছে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রস্তাব পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলে টিকার কার্যক্রম শুরু করবে বাংলাদেশ। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেন, করোনা সংক্রমণ আসার পর আমাদের অনেক শিক্ষা দিয়েছে।

দেশেই দ্রুত উৎপাদিত হবে করোনার টিকা

শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের অনেক দেশকে শিক্ষা দিয়েছে করোনা। প্রথম দিকে টিকা প্রাপ্তি নিয়ে নানা সমস্যা ও বৈষম্যের সৃষ্টি হয়েছে। টিকা নিয়েও এক ধরনের রাজনীতি চলছে। এরমধ্যেই বাংলাদেশ টিকা উৎপাদনের মতো একটি বড় ধরনের প্রতিষ্ঠান তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে টিকা উৎপাদনের যে কারখানা স্থাপন করতে যাচ্ছেন, এটি পদ্মা সেতুর মতোই চ্যালেঞ্জ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণেই এই প্রকল্প সম্পন্ন হতে যাচ্ছে, অন্য কেউ হলে এটা সম্ভব হতো না। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দেশে করোনাসহ যেকোনো ধরনের টিকার জন্য কোন আর কোন সমস্যা হবে না। এটা আমাদের জন্য সুখবর। দেশের হবে বড় অর্জন।


নিউজটি শেয়ার করুন



এ জাতীয় আরো খবর..
ইউটিউবে আমরা...
ফেসবুকে আমরা...