বিপদ-আপদ বা দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি কিংবা কোনোকিছু চেয়ে বরাবরই মুমিনরা সৃষ্টিকর্তার দরবারে দু’হাত তুলে ধরেন। মহান আল্লাহ তা’য়ালাও খোদ ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু। যখন কোনো বান্দা তার কাছে দুই হাত তুলে দোয়া করে, তখন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাকে শূন্যহাতে ফিরিয়ে দেন না।
পবিত্র কুরআনে মহান রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেছেন, ‘প্রার্থনাকারী যখন আমাকে ডাকে, তখন আমি তার ডাকে সাড়া দিই। সুতরাং তারাও যেন আমার ডাকে সাড়া দেয় ও ঈমান আনয়ন করে। আশা করা যায়, তারা সফলকাম হবে।’ (সূরা বাকারা, আয়াত: ১৮৬)।
এ ক্ষেত্রে পরকালে সফল হতে ৫ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি কুরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী আমল করাও জরুরি। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন- নিশ্চয়ই দ্বীন সহজ-সরল। দ্বীন নিয়ে যে কড়াকড়ি করে দ্বীন তার উপর বিজয়ী হয়। কাজেই তোমরা মধ্যপন্থা অবলম্বন কর এবং (মধ্যপন্থার) নিকটবর্তী থাক, আশান্বিত থাক এবং সকাল-সন্ধ্যায় ও রাতের কিছু অংশে (ইবাদতের মাধ্যমে) আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা কর। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩৮)
অন্যদিকে খোদ রাসুল (সা.) সকাল-সন্ধ্যায় মহান রবের কাছে কল্যাণ কামনা করে দোয়া করা শিখিয়েছেন। এরমধ্যে দু’টি হাদিসে সকাল-সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে দোয়ার কথা এসেছে। যার একটি কেউ নিয়মিত করলে সৃষ্টিকুলের কেউই তার মতো মর্যাদা ও সওয়াব অর্জন করতে সক্ষম হবে না।
আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে বর্ণিত হাদিসটি হলো- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি সকালে জেগে উঠে ১০০ বার বলবে- ‘সুবহানাল্লাহিল আযীম, ওয়া বিহামদিহি’ এবং সন্ধ্যায় উপনীত হয়েও অনুরূপ বলে, তাহলে সৃষ্টিকুলের কেউই তার মতো মর্যাদা ও সওয়াব অর্জনে সক্ষম হবে না। (সুনান আবু দাউদ, হাদিস: ৫০৯১)
এছাড়া আরেকটি হাদিসে সকাল-সন্ধ্যায় কবরের আযাব ও বার্ধক্যের দৈন্যতা থেকে আশ্রয় চেয়ে দোয়ার কথা এসেছে। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসটি হলো- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিচের দোয়াটি করতেন-
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبُخْلِ وَالْكَسَلِ وَأَرْذَلِ الْعُمُرِ وَعَذَابِ الْقَبْرِ وَفِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ
আরও পড়ুন: ফিতনা ও দুর্যোগের অকল্যাণ থেকে আশ্রয় চেয়ে যে দোয়া পড়বেন
বাংলা: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল বুখলি, ওয়াল কাসালি, ওয়া-আরদালিল-উমুরি, ওয়া-আযাবিল-কাবরি, ওয়া-ফিতনাতিল-মাখইয়াল মাম্মাতি।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে কৃপণতা, অলসতা, বয়সের নিকৃষ্টতম সময় (বার্ধক্যের দৈন্য), কবরের আযাব এবং জীবন ও মৃত্যুর দুর্যোগ থেকে আশ্রয় চাই। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৬৬২৯)
এ জাতীয় আরো খবর..