×
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত : তারিখ - ২০২৫-০৭-২২, সময় - ০৭:৩৯:৩০নাড়িছেঁড়া বুকের ধন মেহেনাজ আক্তার হুমায়রার (৯) চিরবিদায় মেনে নিতে পারছিলেন না মা-বাবা। বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন মা সুমি আক্তার। বিদায়বেলায় অশ্রুসিক্ত নয়নে মেয়ের কফিনে বারবার চুমু খান বাবা দেলোয়ার হোসেন। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন তারা।
নিহত হুমায়রা টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার হতেয়া ইউনিয়নের কেরানীপাড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন একমাত্র মেয়ে। দেলোয়ার হোসেন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক। তবে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মা-বাবা প্রাণে বেঁচে গেলেও তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী মেহেনাজ আক্তার হুমায়রার মৃত্যু হয়।
সোমবার (২১ জুলাই) রাজধানীর উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বিমান দুর্ঘটনায় হুমায়রার মৃত্যুর খবরটি সোমবার বিকেলেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন সন্ধ্যার পর বাড়িতে ভিড় করতে থাকেন। রাত আড়াইটার দিকে হুমায়রার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এ সময় ওই বাড়িতে কান্না ও আহাজারির শব্দে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। হুমায়রার মৃত্যু যেন এলাকাবাসীও মেনে নিতে পারছেন না। হুমায়রার বাবা দেলোয়ার ও মা সুমি আক্তারের চোখের পানি যেন ফুরিয়ে গেছে।
