×

সর্বশেষ :
এনসিপি নেত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, নেপথ্যে সাইবার বুলিং! বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ম্যাচের টিকিট কেনা যাবে যত টাকায় খালেদা জিয়াকে নিয়ে আমরা আশাবাদী, তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন: ডা. জাহিদ মোদির ভারতকে এমন শিক্ষা দিয়েছি, যা তারা কোনোদিন ভুলতে পারবে না: পাকিস্তান ২০২৫ সালে প্রায় ৫ লাখ সেনা হারিয়েছে ইউক্রেন: রাশিয়া ইতালিতে দুর্গম পাহাড়ে মিলল হাজার হাজার ডাইনোসরের পায়ের ছাপ শাড়ি পরতে পছন্দ করেন? পরার যে ছোট্ট ভুলে মরণব্যাধী রোগের ঝুঁকি, রইল পরামর্শ এক সেফটিপিনের দাম ৯৩ হাজার টাকা আর ৪৭ লাখে মিলছে অটো ব্যাগ জিংক কি সর্দি–কাশি থেকে মুক্তি দেয়, চিকিৎসকের পরামর্শ চিয়া সিড নাকি ফ্ল্যাক্স সিড কোনটি বেশি উপকারী

  • নিউজ ডেস্ক

    প্রকাশিত : তারিখ - ২০২৫-০৭-২৩, সময় - ০৯:২১:৫২

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এক্স-এআই এর প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রায় ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ সংগ্রহ করবে ইলন মাস্ক। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মাস্কের ঘনিষ্ঠ সহযোগী অ্যান্টোনিও গ্রাসিয়াস পরিচালিত ভ্যালর ইক্যুইটি পার্টনার্স নামের একটি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ঋণ সংগ্রহের এই উদ্যোগে নেতৃত্ব দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি এরইমধ্যে কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে।

প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে, এই অর্থ দিয়ে কেনা হবে বিপুল পরিমাণ এনভিডিয়ার তৈরি অত্যাধুনিক জিবি২০০ ও জিবি৩০০ সিরিজের চিপ। এসব চিপ ব্যবহার করে নির্মাণ করা হবে একটি বৃহৎ ডেটা সেন্টার। যেখানে এক্স-এআই এর নিজস্ব চ্যাটবট “গ্রোক”-এর প্রশিক্ষণ ও পরিচালনা করা হবে।

এ প্রসঙ্গে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলছে, এই উদ্যোগের মাধ্যমে একটি সুপারক্লাস্টার গড়ে তোলা হবে। যেখানে প্রাথমিকভাবে ৫ লাখ ৫০ হাজার গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট (জিপিইউ) যুক্ত থাকবে।

বর্তমানে এক্স-এআই এর ডেটা ক্লাস্টারে ইতিমধ্যে ২ লাখ ৩০ হাজার জিপিইউ কাজ করছে বলে নিশ্চিত করেছেন ইলন মাস্ক নিজেই। তিনি আরও বলেন, নতুন সুপারক্লাস্টার চালু হলে, প্রতিষ্ঠানটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌড়ে অনেকখানি এগিয়ে যাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শুধু ২০২৫ সালেই এক্স-এআই এর সম্ভাব্য খরচ দাঁড়াবে ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

ঋণদাতাদের মধ্যে কেউ কেউ ঋণের মেয়াদ তিন বছর নির্ধারণ এবং ঋণের পরিমাণে সীমা বেঁধে দেওয়ার কথা বলেছে। যাতে ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তবে এক্স-এআই বা ভ্যালর ইক্যুইটি পার্টনার্সের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

বিশ্বজুড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে বিনিয়োগ এখন তুঙ্গে। OpenAI, Google এবং চীনের DeepSeek-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছে। এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে চিপ, শক্তিশালী কম্পিউটিং অবকাঠামো এবং উচ্চমানের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রয়োজন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন একটি সময় যখন এআই-কে ঘিরে বৈশ্বিকভাবে বাণিজ্যিক আগ্রহ ও প্রতিযোগিতা বেড়ে চলেছে, তখন এক্স-এআই এর এই উদ্যোগ স্বাভাবিক হলেও এত বড় অঙ্কের ঋণ নিয়ে ঝুঁকি কতটা নেওয়া যায়, সেটিই এখন দেখার বিষয়।

নিউজটি শেয়ার করুন



এ জাতীয় আরো খবর..
ইউটিউবে আমরা...
ফেসবুকে আমরা...