×

সর্বশেষ :
এনসিপি নেত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, নেপথ্যে সাইবার বুলিং! বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ম্যাচের টিকিট কেনা যাবে যত টাকায় খালেদা জিয়াকে নিয়ে আমরা আশাবাদী, তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন: ডা. জাহিদ মোদির ভারতকে এমন শিক্ষা দিয়েছি, যা তারা কোনোদিন ভুলতে পারবে না: পাকিস্তান ২০২৫ সালে প্রায় ৫ লাখ সেনা হারিয়েছে ইউক্রেন: রাশিয়া ইতালিতে দুর্গম পাহাড়ে মিলল হাজার হাজার ডাইনোসরের পায়ের ছাপ শাড়ি পরতে পছন্দ করেন? পরার যে ছোট্ট ভুলে মরণব্যাধী রোগের ঝুঁকি, রইল পরামর্শ এক সেফটিপিনের দাম ৯৩ হাজার টাকা আর ৪৭ লাখে মিলছে অটো ব্যাগ জিংক কি সর্দি–কাশি থেকে মুক্তি দেয়, চিকিৎসকের পরামর্শ চিয়া সিড নাকি ফ্ল্যাক্স সিড কোনটি বেশি উপকারী

  • নিউজ ডেস্ক

    প্রকাশিত : তারিখ - ২০২৫-০৭-২৮, সময় - ০৬:৩৭:২৮

রাতের আকাশে ঝরবে উল্কা। চাঁদের আলোবিহীন অন্ধকারে ঝিকমিক করে উঠবে সেই উল্কা। ২৯-৩০ জুলাই রাতে সারা পৃথিবী থেকে দেখা যাবে এই দৃশ্য। এমনটাই বলছে ‘লাইভ সায়েন্স’-এর একটি প্রতিবেদন।

প্রতি বছর ১৮ জুলাই থেকে ১২ অগস্ট পর্যন্ত উল্কাবৃষ্টি হয়। একে বলে ‘সাদার্ন ডেল্টা অ্যাকোয়ারিড্‌স’। গবেষকেরা বলছেন, জুলাইয়ের শেষ দিনে এই উল্কাপাতের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ওই দিন ঘণ্টায় ২০টির মতো উল্কাপাত হয়।

 

এ বছর ২৯-৩০ জুলাই রাতে দেখা যাবে এই উল্কাবৃষ্টি। ‘সাদার্ন ডেল্টা অ্যাকোয়ারিড্‌স’-এর সঙ্গে এ বছর সক্রিয় হবে উল্কাবৃষ্টি ‘আলফা ক্যাপ্রিকরনিড্‌স’। তা থেকে ঘণ্টায় পাঁচ থেকে ১০টি উল্কাপাত হবে। এই দুইয়ে মিলেই ঘণ্টায় গড়ে ২৫টি উল্কাপাত হতে পারে বলে মনে করছেন গবেষকেরা।

উত্তর এবং দক্ষিণ, দুই গোলার্ধ থেকেই দেখা যাবে উল্কাবৃষ্টি। তবে দক্ষিণ গোলার্ধে আরও একটু ভাল করে দেখা যাবে এই দৃশ্য। কারণ, দক্ষিণ গোলার্ধের আকাশের খুব কাছে রয়েছে ‘সাদার্ন ডেল্টা অ্যাকোয়ারিড্‌স’। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, উত্তর গোলার্ধে বসবাসকারীরা ৩০ জুলাই, বুধবার ভোরের আগে দক্ষিণ আকাশে নজর রাখলে এই উল্কাবৃষ্টি ভাল করে দেখতে পাবেন। ভারত উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত। তাই ভারতের সব জায়গা থেকেও ওই সময়ে আকাশে এই উল্কাবৃষ্টি দেখা যাবে। এ বছর আকাশে চাঁদ থাকবে না বলে অনেক স্পষ্ট ভাবে দেখা যাবে এই উল্কাবৃষ্টি। তবে আবহাওয়া খারাপ থাকলে একটু সমস্যা হতে পারে। বিজ্ঞানীদের পরামর্শ, দূষণমুক্ত কোনও অন্ধকার জায়গা থেকে দক্ষিণ আকাশে তাকালে এই উল্কাবৃষ্টি ভাল করে দেখা যাবে।

‘সাদার্ন ডেল্টা অ্যাকোয়ারিড্‌স’ আসলে ধূমকেতু ৯৬পি/মাছোলজের অংশ। ১৯৮৬ সালে এটি আবিষ্কার করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। প্রতি ৫.৩ বছরে এক বার এই ধূমকেতু সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। সেই প্রদক্ষিণের সময় বেশ কিছু খণ্ডিত অংশ সে কক্ষপথে ফেলে যায়। মনে করা হয়, সূর্যকে প্রদক্ষিণ করার সময়ে প্রতি বছর নিজের কক্ষের ওই নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছোয় পৃথিবী, যেখানে ধূমকেতুর ভগ্নাংশ পড়ে থাকে। ওই ভগ্নাংশ প্রচণ্ড গতিতে পৃথিবীতে আছড়ে পড়ে। মাধ্যাকর্ষণে প্রবেশের সময়ে ঘর্ষণে পুড়ে যায় সেই ভগ্নাংশ। হয় উল্কাপাত, যাকে চলতি কথায় তারাখসা বলা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন



এ জাতীয় আরো খবর..
ইউটিউবে আমরা...
ফেসবুকে আমরা...