অপর আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা ঈমান এনেছে এবং নেক কাজ করেছে তাদের সুসংবাদ দাও, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাতসমূহ, যার তলদেশ দিয়ে নহরসমূহ প্রবাহিত হবে। (সুরা বাকারা, আয়াত: ২৫)। আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘আর যারা ঈমান এনেছে এবং নেক আমল করেছে, তারা জান্নাতের অধিবাসী। তারা সেখানে হবে স্থায়ী।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ৮২)
এজন্য গুনাহ বা পাপ কাজ থেকে নিজেকে রক্ষার পাশাপাশি আল্লাহর হুকুম ও রাসুল (সা.) এর আদর্শ এবং তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ জরুরি। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময়ে বর্ণিত হাদিসে বান্দাদের নানা বিষয়ে আদেশ-নিষেধের পাশাপাশি আমলের পথ বাতলে দিয়েছেন নবীজি। এরমধ্যে বান্দার নেক আমলের সওয়াব সাতশ’ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে দেয়ার কথাও এসেছে।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন- তোমাদের মধ্যে কেউ যখন উত্তমরূপে ইসলামের উপর কায়েম থাকে, তখন সে যে নেক আমল করে তার প্রত্যেকটির বিনিময়ে সাতশ’ গুণ পর্যন্ত (সওয়াব) লেখা হয়। আর সে যে মন্দ কাজ করে তার প্রত্যেকটির বিনিময়ে তার জন্য ঠিক ততটুকুই মন্দ লেখা হয়। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৪০)
ইবনু আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত অপর একটি হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) তার রব থেকে (হাদিসে কুদসী স্বরূপ) বর্ণনা করে বলেন- আল্লাহ তা’য়ালা নেকী ও বদীসমূহ চিহ্নিত করেছেন। এরপর সেগুলোর বর্ণনা দিয়েছেন, সুতরাং যে ব্যক্তি কোনো সং কাজের (ভালো কাজের) ইচ্ছা করল, কিন্তু তা বাস্তবে পরিণত করল না, আল্লাহ তা’য়ালা তার কাছে এর জন্য পূর্ণ নেকী লিপিবদ্ধ করবেন। আর সে ইচ্ছা করল ভালো কাজের এবং তা বাস্তবেও পরিণত করল, তবে আল্লাহ তা’য়ালা তার কাছে তার জন্য ১০ গুণ থেকে সাতশ’ গুণ পর্যন্ত এমনকি এর চেয়েও অনেক গুণ বেশি সাওয়াব লিখে দেন।
আর যে ব্যক্তি কোনো অসৎ কাজের ইচ্ছা করল, কিন্তু তা বাস্তবে পরিণত করল না, আল্লাহ তা’য়ালা তার কাছে তার জন্য পূর্ণ নেকী লিপিবদ্ধ করবেন। আর যদি সে ওই অসৎ কাজের ইচ্ছা করার পর বাস্তবেও তা করে ফেলে, তবে তার জন্য আল্লাহ তা’য়ালা মাত্র একটা পাপ লিখে দেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬০৪৭)
এছাড়াও আরেকটি হাদিসে এসেছে, খুরয়ম ইবনু ফাতিক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে কিছু ব্যয় (দান) করবে, তার জন্য এর বিনিময়ে সাতশ’ গুণ সাওয়াব প্রদান করা হবে। (মেশকাত, হাদিস: ৩৮২৬)


