×
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত : তারিখ - ২০২৫-০৩-০৫, সময় - ০৯:৪৩:৫৩চীন সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আগামী ২৮ মার্চ বেইজিংয়ে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে। এই সফরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাশাপাশি ক্রমপরিবর্তনশীল ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হতে পারে। বৈঠকে গুরুত্ব পেতে পারে চীনের রাষ্ট্রপতির তিন বৈশ্বিক উদ্যোগ– গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ, গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভ, এবং গ্লোবাল সিভিলাইজেশন ইনিশিয়েটিভ। সবকিছু মিলিয়ে এই সফরকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে ঢাকা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। এই সফরের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।এবারের সফরে চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং ও প্রধান উপদেষ্টার মধ্যে বেইজিংয়ে বৈঠক হবে। এছাড়া বাউ ফোরাম ফর এশিয়া কনফারেন্সে বক্তব্য রাখবেন প্রধান উপদেষ্টা।’
উল্লেখ্য, চীনের হাইনান প্রদেশে ২৫ থেকে ২৮ মার্চ অনুষ্ঠেয় বাউ (বিওএও) ফোরাম ফর এশিয়া কনফারেন্সে যোগ দেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। পরবর্তীতে চীনের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার পরে বাউ (বিওএও) ফোরাম কনফারেন্সে প্রধান উপদেষ্টা যোগ দেবেন বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উভয়পক্ষ রাজি হলে এবারের সফরে একাধিক চুক্তি সই হতে পারে বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র।
আরেকজন কর্মকর্তা জানান যে গত জানুয়ারিতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন চীন সফর করেন এবং দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে উচ্চপর্যায়ের সফরের বিষয়ে আলোচনা করেন।
এছাড়া বছরজুড়ে দুই দেশ বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান করবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার চীন। এছাড়া দেশটির বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ রয়েছে বাংলাদেশের প্রতি। এবারের সফরে বিনিয়োগ সম্পর্ক গুরুত্ব পেতে পারে।’
ক্রমপরিবর্তনশীল ভূ-রাজনীতি : কূটনীতিতে চিরস্থায়ী বলে কিছু নেই। আজকে যে দেশ বন্ধুভাবাপন্ন বা কম বন্ধুভাবাপন্ন, কাল হয়তো স্বার্থ বা অন্য কারণে দৃষ্টিভঙ্গি বা অবস্থানের পরিবর্তন হতে পারে। যেমন ২০২৪-এর ৫ আগস্টের আগে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে ভারত। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল কিছুটা কম উষ্ণ। কিন্তু এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কিছুটা অস্বস্তিকর এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ছিল চমৎকার এবং ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গেও যোগাযোগ বাড়াচ্ছে ইউনূস সরকার। ইতোমধ্যে ট্রাম্পের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু ইলন মাস্কের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার।
