×
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত : তারিখ - ২০২৫-০৭-০৮, সময় - ১২:১৬:২৭টানা বৃষ্টি ও মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে নোয়াখালীতে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। এতে জেলার বেশ কিছু সড়ক ও অলিগলির রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। বৃষ্টিতে অলিগলি ছাড়াও কিছু কিছু প্রধান প্রধান সড়কে এবং বাসাবাড়িতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালীতে ১২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আরও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এ অবস্থায় নদীবন্দরে ১ নম্বর ও সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
টানা বর্ষণে জেলা শহর মাইজদীর প্রেসক্লাব সড়ক, টাউন হল মোড়, ইসলামিয়া সড়ক, ডিসি সড়ক, মহিলা কলেজ সড়ক, আল ফারুক স্কুল একাডেমি, জেল খানা সড়ক, মাইজদী বাজার সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে সকাল থেকে সড়কে চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়েন শহরবাসী।
স্থানীয়রা বলছেন, পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাব, ছোট ছোট খালগুলো দখল এবং পানি নিষ্কাশনের নালা ও জলাশয়গুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় শহরবাসীর এ দুর্ভোগ। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন অনেকে। হালকা বৃষ্টিতেই নোয়াখালী পৌরসভার আল ফারুক একাডেমী সড়কে হাঁটু পরিমাণ জমে যায়। এত দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা। জজকোট সড়ক এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
এদিকে টানা বৃষ্টিতে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভা এলাকার করালিয়া, মওদুদ স্কুল, কলেজ গেইট, হাসপাতাল গেইটসহ অনেক এলাকার রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে গেছে।
অপরদিকে, বেগমগঞ্জ, কবিরহাট ও সুবর্ণচর, সেনবাগ উপজেলায় মুষলধারে বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘আমি বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেছি। প্রধান সড়কগুলোতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়নি। তবে পাশের কিছু সড়ক পানিতে ডুবে গেছে।’
-নোয়াখালী প্রতিনিধি
