×
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত : তারিখ - ২০২৫-১১-৩০, সময় - ১১:১৩:৩৩দেশেজুড়েই শীত নেমেছে। এর সঙ্গে সঙ্গে পড়ছে কুয়াশা। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রির নিচে নেমে গেছে। এডিস মশার বংশ বিস্তারের জন্য ২৫ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রা উপযুক্ত। ফলে শীতের এই সময়ে এডিস মশার বিস্তার হওয়ার কথা নয়। এরপরও ডেঙ্গু প্রকোপ থেমে নেই।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, গত এক সপ্তাহে চার হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। রাজধানীর বাইরে এবার ডেঙ্গুর সবচেয়ে বেশি প্রকোপ বরগুনায়। এখন কিছুটা কমলেও জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ৩৯ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। অনেক জেলাতেই এমন পরিস্থিতি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ, ডেঙ্গুতে গ্রামাঞ্চলগুলো ৩০-৪০ বছরের ঝুকিতে রয়েছে। এতে অনেক লোক আক্রান্ত হবে। পাশাপাশি তুলনামূলক মৃত্যুহারও বেশি হবে।
এদিকে, ডেঙ্গু আক্রান্তদের তিন ভাগের দুই ভাগই রাজধানীর বাইরে। তবে মশা মারার তেমন কোনও উদ্যোগ নেই। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ প্রকৃতির ওপর নির্ভর করছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ ও অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বলেছেন, ডিসেম্বরের ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়বে। অন্যান্য বছর শীতকালে ডেঙ্গু আক্রান্ত কম হলেও এ বছর তা হবে না। এই ঢেউ আগামী বছর জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এরপর হয়তো কমতে থাকবে।
আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন ব্লেছেন, মশা নিয়ন্ত্রণ গুরুত্বপূর্ণ। রাজধানী ও গ্রামে মধ্যে মশার প্রজননে পার্থক্য রয়েছে। এর জন্য আলাদাভাবে কাজ করতে হবে।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে নভেম্বর মাসের সর্বোচ্চ মৃত্যু ও শনাক্ত হয়েছে।
