×

সর্বশেষ :
ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ড: সেই ফয়সালসহ সংশ্লিষ্টদের ব্যাংকে ১২৭ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পেল সিআইডি ভাইয়ের কাছে বোনের জটিল রোগের কথা শুনে পাশে দাঁড়ালেন ডিসি দিল্লির ঘটনা ‘বিভ্রান্তিকর প্রচার’ নয়, বিক্ষোভ সম্পর্কে আগে জানানো হয়নি অ্যাশেজ জিতে শীর্ষস্থান মজবুত করল অস্ট্রেলিয়া সোনার দামে রেকর্ড, ভরি ছাড়াল দুই লাখ ১৮ হাজার সালতামামি ২০২৫: মধ্যপ্রাচ্যের জন্য আরেকটি বড় ধরনের পরিবর্তনের বছর আমাদের সবাইকে এখন ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : তারেক রহমান তারেক রহমানের ফেরার দিনে মা‌র্কিন নাগ‌রিকদের জন্য দূতাবাসের নির্দেশনা ভারতকে হারিয়ে এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান বিশ্বের সর্বোচ্চ উঁচু ভবন হতে যাচ্ছে সৌদির জেদ্দা টাওয়ার

  • নিউজ ডেস্ক

    প্রকাশিত : তারিখ - ২০২৫-০৪-২৪, সময় - ০৯:৪৩:৩১

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার অভিযোগে ভারতের নেওয়া একাধিক কঠোর সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে এবার পাল্টা পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে পাকিস্তান। এ লক্ষ্যে আজ বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফের আহ্বানে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। পাকিস্তানের প্রভাবশালী পত্রিকা ‘দ্য ডন’ এর এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

গত মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হন এবং আহত হন আরও ১৭ জন। আহত অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই ঘটনার দায়ভার পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে ভারত একাধিক কড়া সিদ্ধান্ত নেয়। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-সিন্ধু নদী পানি চুক্তি স্থগিত এবং পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ।

ভারতের এসব সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির জরুরি বৈঠকে ভারতের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য পাল্টা পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হবে বলে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

বুধবার জিও নিউজ’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, ‘ভারতের একতরফা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমরা পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে বৈঠক শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভারত একতরফাভাবে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করতে পারে না। কারণ, এই চুক্তিতে শুধু ভারত ও পাকিস্তানই নয়, বিশ্বব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক অংশীদাররাও জড়িত। ফলে এটি আন্তর্জাতিকভাবে বাধাগ্রস্ত হতে পারে।’

কাশ্মীরে ঘটে যাওয়া হামলার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধি, কূটনৈতিক স্তরে চাপ সৃষ্টি এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক পর্যালোচনার মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ভারত।

কাশ্মীর ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সাম্প্রতিক এই ঘটনার ফলে সেই উত্তেজনা আরও তীব্র হয়ে উঠেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন



এ জাতীয় আরো খবর..
ইউটিউবে আমরা...
ফেসবুকে আমরা...