বৈধ-অবৈধ কোনো মোবাইলই বন্ধ হবে না

অবৈধ ও নকল মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবহার বন্ধে ১ জুলাই পরীক্ষামূলকভাবে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার ব্যবস্থা চালু করা হয়। তিন মাস পর ১ অক্টোবর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যবস্থা চালু করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

৭ অক্টোবর বিটিআরসি গণমাধ্যমে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে জানায়, ১ থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত-এ পাঁচ দিনে দেশে দুুই লাখ আট হাজার চারটি অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ফোনগুলো ক্রমান্বয়ে বন্ধ করে দেওয়া হবে। এদিকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, যেকোনো মোবাইল সেট নেটওয়ার্কে চালু হলে-তা বন্ধ না করতে বিটিআরসিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ মোবাইল সেট বৈধভাবে আমদানি হোক কিংবা অন্য কোনোভাবে আসুক-তা গ্রাহক ব্যবহার শুরু করলে আর বন্ধ করা হবে না।

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গণমাধ্যমকে বলেন, ব্যবস্থাটি চালুর পর মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এখনো বাজারে বিক্রি হওয়া মোট ফোনের ৭০ শতাংশ হয় ফিচার ফোন। সেখানে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় না। তাদের জন্য নিবন্ধন একটি ভোগান্তির কাজ। বেশির ভাগ সাধারণ মানুষ জানে না মোবাইল ফোনের আইএমইআই নম্বর দিয়ে কিভাবে বৈধ-অবৈধ যাচাই করতে হবে।

মোস্তাফা জব্বার জানান, এসব বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে তিনি আলোচনা করেন। তিনি (সজীব ওয়াজেদ জয়) মানুষ যাতে ভোগান্তিতে না পড়ে-সেটি নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেন। সে অনুযায়ী, বিটিআরসিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.