‘কীট ছাড়পত্র পেলে পেনডেমিক মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে’

মহামারী করোনা মোকাবেলায় বিশ্বের উন্নত দেশগুলো হিমশিম
খাচ্ছে। বহুল জনসংখ্যার একটি দরিদ্র দেশ হিসেবে বাংলাদেশ একটি ঝাঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। তাই প্রত্যেকে যার যার অবস্থান থেকে এ সংকট উত্তরণে আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসা উচিত। গণস্বাস্থ্যের উদ্ভাবিত করোনা টেস্টিং কীট সরকারের ছাড়পত্র পেলে তা পেন্ডেমিক মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

১৫ মে শুক্রবার লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন রাইটস মুভমেন্ট এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত অনলাইন জুম কনফারেন্সে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী এসব কথা বলেন।

রাইটস মুভমেন্ট এর আহবায়ক অধ্যাপক আব্দুল কাদির সালেহ এর সভাপতিত্বে এবং বিশিষ্ঠ সাংবাদিক শামসুল আলম লিটনের
সঞ্চালনায় উক্ত কনফারেন্সে আরো বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্হ্য কেন্দ্রের গবেষক ও করোনা টেস্টিং কীটের উদ্ভাবক ডা: বিজন কুমার শীল৷ ডা: শীল তাঁর উদ্ভাবিত কীটের কার্যকারিতা ও একিউরেসি নিয়ে বক্তব্য রাখেন।

কনফারেন্সে বৃটেন, আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সিভিল সমাজের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহন করেন। ডা: জাফরউল্লাহ চৌধুরী করোনা কীট, বংলাদেশে মহামারি এবং জনগণের স্বাস্থ্যসেবা প্রসংগে তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ প্রচন্ড সাহসী ও আত্মবিশ্বাসী।সম্পদে আমরা পিছিয়ে থাকলেও মেধায় পিছিয়ে নেই। বাংলাদেশী ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার ও বিশেষজ্ঞগণ বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশে খ্যাতির স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। নিজ দেশে মেধার মূল্যায়ন আমরা করতে না পারলে এই সব মেধা আমাদের হাত ছাড়া হয়ে যাবে। আমরা পিছিয়েই থাকবে। তাদের উদ্ভাবিত করোনা টেস্টিং কীট অচিরেই সরকারের ছাড়পত্র পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি মুক্তিযাদ্ধোসহ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রবাসীদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।

তিনি তাঁর বক্তব্যে প্রবাসীদের সংহতি প্রকাশকে নিখাদ দেশ প্রেমের নিদর্শন বলে আখ্যায়িত করেন এবং এজন্য তাদের প্রতি ধন্যবাদ জানান।

ডাঃ বিজন কুমার শীল বলেন,বাংলাদেশ বিজ্ঞান এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে অনেক এগিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা ভবিষ্যতে চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অনেক অবদান রাখতে পারবো।

অন্যান্যের মধ্যে কনফারেন্সে অংশ নেন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ডক্টর এম হাসনাত হোসেইন এমবিই, স্কটল্যান্ড থেকে বিবিসিসিআইয়ের সাবেক ডাইরেক্টর জেনারেল ডক্টর ওয়ালী তসর উদ্দিন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সৈয়দ মামুন মোর্শেদ, বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টের সাবেক উপদেষ্টা মোখলেসুর রহমান চৌধুরী, সাংবাদিক কায়েস আজিজ, শেখ মহিতুর রহমান বাবলু, ইটালি থেকে সাংবাদিক পলাশ রহমান, ব্যারিস্টার ইকবাল হোসেন, ঢাকা থেকে মোস্তফা আনোয়ার খান, সুইডেনের স্টকহোম থেকে এনাম চৌধুরী, ব্যারিস্টার আব্দুল মজিদ তাহের, ডঃ এম এ আজিজ, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট মোঃ মাসুদুর রহমান ও সাংবাদিক মুহাম্মদ মহসিন।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.