×

  • নিউজ ডেস্ক

    প্রকাশিত : তারিখ - ২০২১-০৯-২৭, সময় - ০৪:৩৭:১৬

ট্রাফিক পুলিশের ওপর বিরক্ত হয়ে নিজের মোটরসাইকেলে পেট্রল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন পাঠাও চালক।

সোমবার সকালে রাজধানীর বাড্ডা লিংক রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। বাইক পোড়ানোর সেই ঘটনা পথচারীরা ভিডিও করে ফেসবুকে ছেড়ে দিয়েছেন। যা ছড়িয়ে পড়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

ভিডিওতে দেখা যায়, ফুটপাতের পাশের ড্রেনঘেঁষে দাঁড় করানো মোটরসাইকেলটি দাউ দাউ করে জ্বলছে। ওই মোটরসাইকেল চালক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন। রাস্তায় এদিক ওদিকে চিৎকার করে কিছু একটা বলছেন। এক সময় হাতে থাকা হেলমেটটি জ্বলতে থাকা মোটরসাইকেলের উপর ছুড়ে মারেন। এসময় আশপাশের লোকজন আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও তিনি বাঁধা দেন। আগুন নেভাতে মগে করে পানি নিয়ে আসেন এক যুবক।  তবে তাকে বাধা দেন পাঠাও চালক।

প্রত্যক্ষদর্শীরা ও বাড্ডা থানা পুলিশ জানিয়েছে, পুড়ে যাওয়া মোটরসাইকেলটির মালিকের নাম শওকত আলী। ট্রাফিক পুলিশ তার থেকে বাহনের কাগজপত্র ও লাইসেন্স দেখতে চাইলে এ নিয়ে বাদানুবাদ হয়। একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে শওকত আলী নিজেই পেট্রল দিয়ে নিজের মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে তাকে পুলিশ বাড্ডা থানায় নিয়ে গেলেও ছেড়ে দেওয়া হয়।

জানা গেছে, ছোট দোকান চালিয়ে সংসার চালাতেন শওকত আলী। করোনায় ব্যবসাটিও বন্ধ হয়ে যায়। তাই বাধ্য হয়ে গত কয়েক মাস ধরে মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ার করে সংসার চালাচ্ছিলেন তিনি।

গুলশান ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার রবিউল ইসলাম বলেছেন, ‘মোটরসাইকেলগুলো রাস্তার পাশে এমনভাবে দাঁড় করিয়ে রাখে, এতে গাড়ি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। গুলশানের লিংকরোডে যানজটের সৃষ্টি হয়। তাই দায়িত্বরত পুলিশ সার্জেন্ট মোটরসাইকেল চালকদের কাগজপত্র নেয়। আর সবার মতো শওকত আলীর কাগজপত্র চেক করতে চান দায়িত্বরত পুলিশ। তার কাগজপত্র নেওয়া হলেও তার মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে কোনো মামলা দেওয়া হয়নি। মামলা দেওয়ার আগেই তিনি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন।’


নিউজটি শেয়ার করুন



এ জাতীয় আরো খবর..
ইউটিউবে আমরা...
ফেসবুকে আমরা...