জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইনসাফ তথা ন্যায়বিচার অপরিহার্য। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় স্থিতিশীলতার জন্য ইনসাফ অপরিহার্য। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা ইনসাফ প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন। বর্ণিত হয়েছে,
اِنَّ اللّٰهَ یَاۡمُرُ بِالۡعَدۡلِ وَ الۡاِحۡسَانِ وَ اِیۡتَآیِٔ ذِی الۡقُرۡبٰی وَ یَنۡهٰی عَنِ الۡفَحۡشَآءِ وَ الۡمُنۡكَرِ وَ الۡبَغۡیِ ۚ یَعِظُكُمۡ لَعَلَّكُمۡ تَذَكَّرُوۡنَ
নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফ, সদাচার ও নিকট আত্মীয়দের দান করার আদেশ দেন এবং তিনি আশ্লীলতা, মন্দ কাজ ও সীমালঙ্ঘন থেকে নিষেধ করেন। তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর। (সুরা আন-নাহাল, আয়াত : ৯০)
এই আয়াতে আল্লাহ তায়ালা আদলের নির্দেশ দিয়েছেন। আদল শব্দের আসল ও আভিধানিক অর্থ সমান করা। আদল শব্দটি ব্যাপক অর্থবোধক শব্দ। এর একটি অর্থ হলো ইনসাফ করা।
আদল শব্দের প্রসিদ্ধ অর্থ ন্যায়পরায়ণতা, সুবিচার। অর্থাৎ, ঘর-পর সকলের সঙ্গে সুবিচার করা। কারো সাথে শত্রুতা, ঝগড়া, ভালবাসা বা আত্মীয়তার কারণে সুবিচার যেন প্রভাবিত না হয়। এর দ্বিতীয় অর্থ মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা এবং কোন ব্যাপারে বাড়াবাড়ি না করা, এমন কি দ্বীনের ব্যাপারেও।
ইনসাফ ও সুবিচার দ্বারা সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। মানুষের মাঝে সৌন্দর্য, সৌহার্দ্য ত্যাগ-তিতিক্ষার স্পৃহা সৃষ্টি হয়।
কোরআনের অন্য আয়াতেও আল্লাহ তায়ালা ইনসাফ প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন। বর্ণিত হয়েছে, পবিত্র কোরআনের অন্যত্র আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘যখন তোমরা কথা বলবে তখন ন্যায্য বলবে যদিও নিকটাত্মীয়ের বিষয়ে হয়।’ (সুরা আনআম, আয়াত : ১৫২)
আরও বর্ণিত হয়েছে, ‘বলে দাও, আমি তো আল্লাহ যে কিতাব নাজিল করেছেন তার প্রতি ইমান এনেছি আর তোমাদের মধ্যে ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় আমি আদিষ্ট।’ সুরা শুরা, আয়াত : ১৫)
এসব আয়াতের মধ্যে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, ইনসাফ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আপন এবং পরের মধ্যে যেন কোনো পার্থক্য করা না হয়, যা সত্য তাই যেন প্রতিষ্ঠিত হয়। তাই জীবনের সব ক্ষেত্রে সবার তরে ইনসাফ একান্ত জরুরি।
এ জাতীয় আরো খবর..