জুলাই অভ্যুত্থানে কারফিউ দিয়ে গণহত্যায় উসকানি দেওয়াসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আবেদন করেছেন প্রসিকিউশন।
আজ (সোমবার) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এ আবেদন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
শুনানির শুরুতেই সালমান ও আনিসুলের ব্যক্তিগত দায় পড়ে শোনান তাজুল ইসলাম। একপর্যায়ে তাদের একটি ফোনালাপ বাজিয়ে শোনানো হয়। ফোনালাপটি ২০২৪ সালের ১৯ জুলাইয়ের। এরপরই সুনির্দিষ্ট পাঁচটি অভিযোগ পড়েন চিফ প্রসিকিউটর।
এ সময় প্রসিকিউশনের আনা অভিযোগগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনেন সালমান-আনিসুল। কিন্তু অনুমতি নিয়ে তাদের ফোনালাপটি ট্রাইব্যুনালে বাজিয়ে শোনাতেই একে অপরের দিকে তাকান একসময়ের প্রতাপশালী এই দুজন। একপর্যায়ে হাসি ফুটে ওঠে দুজনের মুখে। একজন-আরেকজনের সঙ্গে কথাও বলেন তারা।
কথোপকথনে শোনা যায়, ফোনে সালমান এফ রহমানকে আন্দোলন দমনে ছাত্র-জনতাকে নির্মূল করে দেওয়ার কথা বলেন তৎকালীন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। একইসঙ্গে কারফিউ জারির পরামর্শ দেওয়া হয়। যদিও একপর্যায়ে বলতে শোনা যায় ‘এগুলো ফোনে বলা উচিত নয়’।
শুনানি শেষে সালমান ও আনিসুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আবেদন করেন চিফ প্রসিকিউটর। তার সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, প্রসিকিউটর ফারুক আহাম্মদ, তারেক আবদুল্লাহ, মঈনুল করিম, আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ অন্যরা।
এর আগে, ৪ ডিসেম্বর এই দুজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। পরে শুনানি শেষে অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল।
এ জাতীয় আরো খবর..