সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সাকিব আল হাসানের ব্যাট–বলের ধার কিছুটা কমেছে—এমন আলোচনা থাকলেও অভিজ্ঞতা যে এখনো বড় ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে, তা আবারও প্রমাণ করলেন বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার। আইএল টি–টোয়েন্টিতে এমআই এমিরেটসের হয়ে রোববার (২১ ডিসেম্বর) ডেজার্ট ভাইপার্সের বিপক্ষে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচ জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি।
ম্যাচে বল হাতে চার ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন সাকিব। পরে ব্যাট হাতে অপরাজিত থেকে করেন ১৭ রান। তার এই অবদানের ওপর ভর করেই জয় নিশ্চিত করে এমআই এমিরেটস। ম্যাচ শেষে ৩৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার পান ম্যাচ–সেরার পুরস্কার।
টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটি সাকিব আল হাসানের ৪৫তম ম্যাচ–সেরা পুরস্কার। এই অর্জনে তিনি ছুঁয়েছেন রাশিদ খান ও অ্যালেক্স হেলসকে। হেলস ৫২৪ ম্যাচে এবং রাশিদ ৫০৪ ম্যাচে ৪৫ বার করে ম্যাচ–সেরা হয়েছেন। তুলনামূলকভাবে কম ম্যাচ খেলেই এই মাইলফলকে পৌঁছেছেন সাকিব—তার লেগেছে ৪৬৫ ম্যাচ।
টি–টোয়েন্টিতে সাকিবদের চেয়ে বেশি ম্যাচ–সেরা হয়েছেন কেবল তিনজন ক্রিকেটার। যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে আছেন কাইরন পোলার্ড ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। পোলার্ড ৭২৮ ম্যাচে এবং ম্যাক্সওয়েল ৪৮৯ ম্যাচে ৪৮ বার করে ম্যাচ–সেরা হয়েছেন। তালিকার শীর্ষে রয়েছেন ক্রিস গেইল—৪৬৩ ম্যাচে ৬০টি ম্যাচ–সেরা পুরস্কার জিতেছেন তিনি।
এই ম্যাচের আগে সাকিব সর্বশেষ ম্যাচ–সেরা হয়েছিলেন গত আগস্টে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে। অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকন্সের হয়ে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের বিপক্ষে সেই ম্যাচে তিনি তিন উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি করেন ২৫ রান।
এরপরের সাতটি টি–টোয়েন্টি ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতে ছিলেন উইকেটশূন্য এবং বাকি দুই ম্যাচে নেন একটি করে উইকেট। সেই নিষ্প্রভ সময় পেরিয়ে আইএল টি–টোয়েন্টির এই ম্যাচে আবারও নিজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ রাখলেন সাকিব আল হাসান।
এ জাতীয় আরো খবর..