×

  • নিউজ ডেস্ক

    প্রকাশিত : তারিখ - ২০২৫-০৭-২৩, সময় - ০৯:১০:১০

ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্দোলনে অংশ নেয়ায় প্রায় ৮০ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়।

ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে আন্দোলনে অংশ নেয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রায় ৮০ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার, দীর্ঘমেয়াদি সাসপেনশন এবং একাধিক ক্ষেত্রে ডিগ্রি বাতিলের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ছাত্র সংগঠন কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি অ্যাপারথাইড ডিভেস্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এসব শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিকভাবে ইসরায়েলের সঙ্গে জড়িত কোম্পানি থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয় মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানায়, চলতি বছরের মে মাসে চূড়ান্ত পরীক্ষার সময় বাটলার লাইব্রেরি দখল এবং ২০২৪ সালের বসন্তে অ্যালামনাই উইকেন্ডে অনুষ্ঠিত ক্যাম্প ইন প্রতিবাদ কর্মসূচির কারণে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, শিক্ষা কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটানো বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালার পরিপন্থী। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের পরিণতি অবশ্যই থাকবে।

কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি অ্যাপারথাইড ডিভেস্টের দাবি করেছে, এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা পূর্ববর্তী শিক্ষা সংক্রান্ত আন্দোলনের তুলনায় অত্যন্ত কঠোর এবং পক্ষপাতদুষ্ট। অন্য বিষয়ে অনুষ্ঠিত ‘টিচ-ইন’ বা বিল্ডিং দখলের ঘটনায় এমন শাস্তির নজির নেই।

২০২৪ সালে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া প্রো-প্যালেস্টাইন ক্যাম্পেইন বিশ্বব্যাপী ছাত্র আন্দোলনের জোয়ার সৃষ্টি করে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিউইয়র্ক সিটি পুলিশের সহায়তায় এই প্রতিবাদ দমন করে এবং বহু শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কঠোর দমননীতি সত্ত্বেও চলতি বছরের মে মাসে শিক্ষার্থীরা পুনরায় বাটলার লাইব্রেরি দখল করে আন্দোলনে অংশ নেয়। তাদের দাবি ছিল, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে জড়িত কোম্পানি থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহার এবং গাজায় ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ।

ছাত্রদের সংগঠন জানিয়েছে, আমরা ভীত নই। আমরা ফিলিস্তিনিদের মুক্তির সংগ্রামে অটল।

সূত্র: আল জাজিরা

নিউজটি শেয়ার করুন



এ জাতীয় আরো খবর..
ইউটিউবে আমরা...
ফেসবুকে আমরা...