অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার বলেন, নির্বাচনে আমি অনেকগুলো অনিয়ম দেখেছি।
অনেকগুলো মারাত্মক ত্রুটি দেখেছি। এই ত্রুটিগুলো নির্বাচন প্রক্রিয়াকে
প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এরকম পরিস্থিতিতে আমি নির্বাচন কমিশনের সকলে একমত পোষণ
করলেও বিশেষ কিছু কারণে আমার যে মতামত তা গ্রহণে তারা অপারগতা প্রকাশ
করেছে।
তিনি
আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন আমার মতামতের সুরাহা না করেই ভোট গণনা শুরু
করেছে, তখন আমি আমার যে মত তা লিখিতভাবে জানিয়েছি। সময় খুব কম হওয়ায় আমার
পক্ষে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়। সে কারণে আমি
নির্বাচন কমিশন থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিচ্ছি।
এদিকে
রাতে এক বিবৃতিতে জাকসু সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ.
কে. এম. রাশিদুল আলম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) জাকসু ও হল
সংসদ নির্বাচন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত যথানিয়মে অনুষ্ঠিত হয়। বলা
প্রয়োজন, ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে নির্বাচনের ভোট গণনা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ২১টি
হল সংসদের মধ্যে ১৯টি হল সংসদের ভোট গণনা কার্যক্রম শেষ হয়েছে। অবশিষ্ট
২টি হল সংসদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
পাশাপাশি,
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) এর ভোট গণনা চলছে এবং
নিরবচ্ছিন্নভাবে এই গণনা কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলবে। জাকসু
নির্বাচন কমিশন আশা করছে, রাতের মধ্যে ভোট গণনা সম্পন্ন হবে এবং যথারীতি
ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
এবার
জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ৮৪৩। ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন
প্রায় ৮ হাজার শিক্ষার্থী। অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বয়কট করেছে
ছাত্রদলসহ ৫ প্যানেল ও ৫ স্বতন্ত্র প্রার্থী।