৩০ বছর বয়সী এই ফুটবলার ২০১৭ সাল থেকে কয়েক মাস টেস্টিকুলার
ক্যান্সারের চিকিৎসা নিয়েছেন। এরপর চুলের জন্য ব্যবহৃত ওষুধটিতে উয়েফা
নিষিদ্ধ পদার্থ ক্যানরেনোনের উপস্থিতিতে পেয়েছে। গত মৌসুমে লা লিগায়
চতুর্থ হয়ে শেষ করেছিল অ্যাথলেটিক বিলবাও। ফলে আসন্ন মৌসুমে তারা
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলবে।
এর আগে স্প্যানিশ এই ডিফেন্ডারের সাময়িক নিষেধাজ্ঞা শুরুর পর গত
জুলাইয়ে বলেছিলেন, চুল পড়া ঠেকানোর চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের সঙ্গে
অনিচ্ছাকৃতভাবে একটি নিষিদ্ধ উপাদান ইনজেকশনের মাধ্যমে গ্রহণ করেন। ২০১৬
সালে তার টেস্টিকুলার ক্যান্সার ধরা পড়ে এবং চুল পড়া (অ্যালোপেসিয়া)
ঠেকাতে চিকিৎসার অংশ হিসেবে ওই ওষুধ নিচ্ছিলেন বলে দাবি আলভারেজের। যার
কারণে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছে।
উয়েফার নৈতিকতা ও শৃঙ্খলা বিভাগের দুই পরিদর্শকের তদন্ত শেষে তাকে ১০
মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা আগামী বছরের ২ এপ্রিল
পর্যন্ত কার্যকর থাকবে এবং প্রযোজ্য হবে সকল প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রেই।
পরবর্তীতে শাস্তি শেষ হওয়ার দুই মাস আগে থেকেই (২ ফেব্রুয়ারি) ফের দলের
সঙ্গে অনুশীলন করতে পারবেন বা অনুশীলনের জন্য কোনো একটি ক্লাবের
ফ্যাসিলিটিজ ব্যবহার করতে পারবেন আলভারেজ।
ইউরোপীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা উয়েফা জানিয়েছে, মে মাসে ইউরোপা
লিগের সেমিফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে হারের পর অ্যাতলেটিক
বিলবাওয়ের খেলোয়াড় আলভারেজের ডোপ টেস্টে নিষিদ্ধ পদার্থ ধরা পড়ে। জুনের
শুরুতে তিনি স্বেচ্ছায় সাময়িক নিষেধাজ্ঞা মেনে নেন। চূড়ান্ত পরীক্ষার পর
বড় শাস্তি পেলেন আলভারেজ।
ক্যান্সারের চিকিৎসা নেওয়ার পর চুল পড়া বেড়ে যায় স্প্যানিশ ক্লাব
অ্যাতলেটিক বিলবাওয়ের ফুটবলার ইয়েরে আলভারেজের। চুল পড়া রোধ করতে তিনি একটি
ওষুধ ব্যবহার শুরু করেন, যেখানে ক্রীড়াঙ্গনে নিষিদ্ধ এমন পদার্থের
উপস্থিতি পাওয়া যায়। ওই ঘটনায় গত জুন মাসেই সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় এই
স্প্যানিশ সেন্টারব্যাককে। এবার নিষিদ্ধ পদার্থ পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায়
তাকে ১০ মাস নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এ জাতীয় আরো খবর..