×

  • নিউজ ডেস্ক

    প্রকাশিত : তারিখ - ২০২৫-০৩-২০, সময় - ১২:১৪:১৯

জানা অজানা অগণিত তথ্য দিয়ে সাজানো সংবাদপত্রের পাতা। এ সবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য তথ্য মনে দাগ কাটলেও, অনেকগুলোই দৃষ্টির অগোচরে থেকে যায়। আবার প্রথম পাতার সব শিরোনামও সবার পড়ার সুযোগ হয়না। মাল্টিনিউজের পাঠকদের জন্য এবার সেই অয়োজন সংবাদপত্রের পাতা থেকে। চলুন আজ
বৃহস্পতিবার (২০) কোন সংবাদপত্রের প্রধান শিরোনাম কী, তা জেনে নিই। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী ঢাকা থেকে প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন জেলায় ঈদ করতে যান অন্তত ১ কোটি মানুষ। প্রতি বছর ঈদের সময় ঘরমুখো মানুষকে সড়কপথে গাড়ির ধীরগতি ও যানজটের ভোগান্তি মেনে নিয়েই বাড়ি ফিরতে হয়। দেশের সড়ক পথগুলোর মধ্যে অন্যতম দীর্ঘ ও ব্যস্ততম রুট ঢাকা-উত্তরবঙ্গ পথে যাত্রীর চাপ বরাবরই বেশি থাকে। ঈদের সময় ভোগান্তিও বেশি হয় এ রুটে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যানজটের কারণে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গের যেকোনো জেলায় যেতে কখনো কখনো অতিরিক্ত ১০-১২ ঘণ্টা বেশি সময় ব্যয় করতে হয়। এবারও এমন ভোগান্তির আশঙ্কা আছে। এদিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কেও রূপগঞ্জের ১৮ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সারা বছরই যানজট লেগে থাকে। এ কারণে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বছরের পর বছর। ঈদ যত ঘনিয়ে আসে, এ যানজটের মাত্রা আরো কয়েকগুণ বেড়ে যায়। চলতি বছরও এ রুটে ঈদযাত্রায় চরম ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রতি বছর ঈদের আগে যাত্রাপথের যানজট নিরসনে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার আয়োজন করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। সেই সভায় উপস্থিত থাকেন সড়কপথ নির্মাণ, সেতু নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ, নিরাপত্তাসহ সব অংশীজন। আলোচনা হয় সমস্যা সমাধানের বিষয়ে। তারপরও সড়কের যানজট ও ভোগান্তি থামে না। এবার আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে সারা দেশে যানজট হতে পারে- এমন ১৫৯টি গুরুত্বপূর্ণ স্পট চিহ্নিত করার কথা জানানো হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্পট ঢাকা-উত্তরবঙ্গ রুটে ৫৪টি। এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ৪৯টি, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ৪২টি, ঢাকা-পাটুরিয়া-আরিচা মহাসড়কে ৮টি এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ৬টি গুরুত্বপূর্ণ স্পট চিহ্নিত করা হয়েছে।

ঢাকা-উত্তরবঙ্গ রুটের ৫৪টি স্পটের মধ্যে রয়েছে- বাইপাইল মোড়, চন্দ্রা মোড়, গোড়াই মিলগেট, এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে যমুনা সেতু পূর্ব গোলচত্বর, যমুনা সেতু পশ্চিম গোলচত্বর, ফেন্সিগেটের আগের অংশ, ফেন্সিগেট সার্ভিস লেন, মুলিবাড়ী আন্ডারপাসের আগে, কড্ডা ফ্লাইওভারের পশ্চিমে, কোনাবাড়ী আন্ডারপাসের আগে, হাটিকুমরুল পাঁচলিয়া বাসস্ট্যান্ড, হাটিকুমরুল ধোপাকান্দি ব্রিজ, হাটিকুমরুল গোলচত্বর, হাটিকুমরুল বাজার, ঘুরকা বেলতলা, ভূঁইয়াগাতী বাসস্ট্যান্ড, হোটেল হাইওয়ে অভিভিলা, ষোলমাইল, সিরাজগঞ্জ বাইপাস, জমজম দইঘর, বগুড়া বাজার থেকে সীমাবাড়ী কলেজ, পেন্টাগন হোটেল, ফুড ভিলেজ হোটেল, হাটিকুমরুল গোলচত্বর থেকে হাটিকুমরুল ইউনিয়ন পরিষদ, দাদপুর জামাই রোড, নিউ পাপিয়া হোটেল থেকে চাচা ভাতিজা হোটেল, জোড়া ব্রিজ, চান্দাইকোনা গরুর হাট পর্যন্ত।

এছাড়া ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের কাচিকাটা টোলপ্লাজা, বনপাড়া বাইপাস, বনপাড়া বাজার, রাজশাহী-নাটোর মহাসড়কের বানেশ্বর বাজার, রাজশাহী, ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ঘোগা বটতলা থেকে মোনায়েম কনস্ট্রাকশন, ছনকাবাজার, শেরপুর মডেল মসজিদের সামনে, নয়ামাইল বাজার, মাঝিরা বাজার, ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানার বনানী বাসস্ট্যান্ড, শাকপালা, বগুড়া জেলার সদর থানার জিয়া মেডিকেল কলেজ গেটের সামনে, তিন মাথা রেল ক্রসিং, চারমাথা ফ্লাইওভার ব্রিজের নিচে, বারোপুর বাসস্ট্যান্ড, মাটিডালি বিমানবন্দর মোড়, টিএমএসএসের সামনে, শিবগঞ্জ থানার মহাস্থান বাসস্ট্যান্ড ফ্লাইওভারের নিচে, মোকামতলা বাসস্ট্যান্ড ফ্লাইওভারের নিচে, মায়ামনি চৌরাস্তা মোড় থেকে গোবিন্দগঞ্জ ব্র্যাক অফিস, গাইবান্ধা, পলাশবাড়ী উপজেলা পোস্ট অফিস এবং শিল্পী রেস্তোরাঁ থেকে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর পর্যন্ত পলাশবাড়ী, গাইবান্ধা, পীরগঞ্জ উপজেলা বাসস্টপেজ থেকে সাসেক প্রকল্পের নির্মাণাধীন আন্ডারপাসের উত্তর প্রান্ত পর্যন্ত, বিশ মাইল, পীরগঞ্জ, রংপুর, বড় দরগাহ আন্ডারপাস, পীরগঞ্জ, রংপুর, শঠিবাড়ী আন্ডারপাস, শঠিবাড়ী বাজার এবং বাসস্টপেজ এলাকা, মিঠাপুকুর, রংপুরকে ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কের যানজটের গুরুত্বপূর্ণ হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন



এ জাতীয় আরো খবর..
ইউটিউবে আমরা...
ফেসবুকে আমরা...