চোটের কারণে টানা দুই ম্যাচ মাঠের বাইরে ছিলেন। আগের পাঁচ ম্যাচ
মিলিয়ে মাত্র ৪৫ মিনিট খেলেছেন। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই হয়তো ধুঁকতে থাকা
মেসির আরও বিশ্রামের প্রয়োজন বলেই ভাবছিলেন। কিন্তু লিওনেল মেসি তো আর
সাধারণ কেউ নন। ফিরেই যেন বুঝিয়ে দিলেন—তিনি এখনো সেই পুরোনো জাদুকরই আছেন।
অরল্যান্ডো সিটির বিপক্ষে লিগস কাপের সেমিফাইনালে চেনা ছন্দে ফিরলেন
আর্জেন্টাইন মহাতারকা। পিছিয়ে পড়া দলকে জোড়া গোল করে এগিয়ে দিলেন। শেষ দিকে
তেলাসকো সেগোভিয়ার গোলে নিশ্চিত হলো ৩-১ ব্যবধানের জয়। আর সেই সঙ্গে টানা
দ্বিতীয়বারের মতো লিগস কাপের ফাইনালে উঠে গেল ইন্টার মায়ামি।
ম্যাচশেষে নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে অ্যাপল টিভিকে মেসি বলেন, “আমি এই
ম্যাচে খেলতে চেয়েছিলাম। এলএ গ্যালাক্সির বিপক্ষে কিছুটা অস্বস্তি বোধ
করেছিলাম, কিন্তু জানতাম এই ম্যাচটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমার্ধে কিছুটা
ভয়ে ছিলাম, তবে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়েছি।”
এই ম্যাচে জোড়া গোল করে ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে মেসির ক্যারিয়ার গোল
সংখ্যা এখন ৮৭৭। ৯০০ গোলের ইতিহাস গড়তে দরকার আর মাত্র ২৩টি গোল। একই
সঙ্গে ৪০০তম অ্যাসিস্টের আগে আছেন ১১টি দূরে। সব মিলিয়ে ১৩০০ গোল অবদানের
(গোল+অ্যাসিস্ট) অনন্য রেকর্ড গড়তে বাকি ৩৪টি অবদান।
ম্যাচে ইন্টার মায়ামির ডাগআউটে ছিলেন সহকারী কোচ হাভিয়ের মোরালেস। কারণ, মূল কোচ হাভিয়ের মাশ্চেরানো ছিলেন নিষেধাজ্ঞায়।
ম্যাচশেষে মেসির প্রশংসায় তিনি বলেন, “লিও সম্পর্কে কিছু বলার আগে
মনে হয়, শব্দই কম পড়ে যায়। ঠিকভাবে অনুশীলন করতে পারেনি, তারপরও পুরো ৯০
মিনিট খেলেছে। আমাদের জন্য যেমন সৌভাগ্যের, তেমনি দর্শকদের জন্যও বড়
আনন্দের বিষয়।” মেসির নেতৃত্বগুণ নিয়েও প্রশংসা ঝরেছে তার কণ্ঠে“, সে শুধু
মাঠেই না, মাঠের বাইরেও একজন নেতা। ওর কাছ থেকে শেখার বিষয়টা শুধু ফুটবলেই
সীমাবদ্ধ নয়, নেতৃত্বেও।”
আগামী রোববার লিগস কাপের ফাইনালে খেলবে ইন্টার মায়ামি। শিরোপা জিতলে
এটি হবে মেসির ক্যারিয়ারের ৪৭তম ট্রফি। ফাইনালে মায়ামির প্রতিপক্ষ হবে
সিয়াটল সাউন্ডার্স অথবা এলএ গ্যালাক্সির মধ্যে জয়ী দলটি। মেসির মুকুটে
আরেকটি ট্রফি যোগ হবে কিনা, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
এ জাতীয় আরো খবর..