নিষেধাজ্ঞায় থাকা দেশগুলোর তালিকা থেকে সিরিয়ার নাম মুছে ফেলার
সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র; আর এতে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ
করেছে সিরিয়া। শুক্রবার এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছে
সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সিরিয়ার সাবেক মস্কোপন্থি প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সময় সিরিয়ার
ওপর বিপুল পরিমাণ অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের
ট্রেজারি মন্ত্রণালয়। তবে গত ডিসেম্বরে হায়াত তাহরির আল শামস (এইচটিএস)
জোটের ঝটিকা অভিযানে পতন ঘটে বাশার আল আসাদের নেতৃত্বাধীন সরকারের। রাশিয়ায়
পালিয়ে যান বাশার এবং সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট হন এইচটিএসের শীর্ষ নেতা
আহমেদ আল শারা।
ক্ষমতার বদলের পর থেকেই সিরিয়ার ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা চলছি। গতকাল সোমবার ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে দামেস্ককে
জানানো হয়েছে যে সিরিয়ার ওপর থেকে যাবতীয় অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে
নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রেজারি মন্ত্রণালয়।
এই সিদ্ধান্ত জানানোর পর ওয়াশিংটনকে ধন্যবাদ জানিয়ে এক
বিবৃতিতে সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, “এই ইতিবাচক পদক্ষেপের জন্য
আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
হলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে সিরিয়ার সাধারণ জনগণ। দেশের মানবিক ও
অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও বহির্বিশ্বের সঙ্গে
যুক্তরাষ্ট্রের যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক সম্পর্ক নতুন গতি পাবে।”
প্রসঙ্গত, গত মাসে উচ্চপর্যায়ের একটি মার্কিন প্রতিনিধি দল সিরিয়ায়
সফরে গিয়েছিলেন। এই দলটিতে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ
সিনেটের সদস্য জিয়ান্নে শাহীন, নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের সদস্য
জোয়ে উইলসন এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিরিয়া বিষয়ক বিশেষ দূত টম
বারাক।
সিরিয়ায় পৌঁছে প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল শারা এবং দেশটির
প্রতিরক্ষামন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স এবং
শ্রমমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন তারা। ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিনিধি দলের সেই
সফরের পরেই সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি মন্ত্রণালয়।
এ জাতীয় আরো খবর..