‘ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-গাজীপুরে আক্রান্ত বেশি হলে কারখানা বন্ধ’
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-গাজীপুর কভিড- ১৯ সংক্রমণের হটস্পট হয়ে উঠছে। এই তিন এলাকার কারখানা স্বাস্থ্য সুরক্ষা নজরদারিতে কমিটি গঠন করা হবে। কারখানা পর্যায়ে গঠন হবে মেডিকেল টিম। আক্রান্ত বেশি হলে সাময়িক সময়ের জন্য কারখানা বন্ধ করা হবে।
আজ রোববার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সভা শেষে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
গার্মেন্ট কারখানাসহ অন্যান্য শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সীমিত আকারে চালুর বিষয়ে আলোচনার জন্য গত ৩০ এপ্রিল আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার নির্দেশনা সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হচ্ছে। এই ধারাবাহিকতায় আজ সভায় স্বরাষ্ট্র, শিল্প, শ্রম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরাসহ এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ শিল্প সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনটি করোনা হটস্পটে গার্মেন্ট কারখানা বেশি আছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-গাজীপুর এই তিন এলাকা থেকে কেউ যেনো বাইরে না যায় আবার কেউ যেনো ভেতরে না ঢোকে সে বিষয়ে নজরদারি করার জন্য আমরা বলেছি। আমরা এটাও বলেছি, গার্মেন্টস মালিকরা যেনো টেস্ট ফ্যাসিলিটা তৈরি করে দেন। সবচেয়ে বড় যে সিদ্ধান্তটি হয়েছে সেটি হলো, শিল্প বিশেষ করে গার্মেন্টেসে স্বাস্থ্যের দিকটা মনিটর করার জন্য একটা কমিটি হবে, সাব কমিটি তৈরি করা হবে বিভিন্ন জোনের জন্য। কারখানা পর্যায়েও যেনো একটি করে মেডিকেল টিম থাকে, যেই টিমের দায়িত্ব হবে আমাদের নির্দেশনা পালন করা। তারা পর্যায়ক্রমে ন্যাশনাল কমিটির কাছে রিপোর্ট করবে প্রতিনিয়ত। কোথাও যদি বেশি আক্রান্ত হয়ে যায় তাহলে আমরা ওই পর্যায়েও যাবো যে পর্যায়ে আমরা কারখানাকে শাটডাউন করবো কিছু দিনের জন্য।