চার মাস পর সর্বোচ্চ আদালত বসছে আজ

চার মাস বন্ধ থাকার পর আজ সোমবার (১৩ জুলাই) বসছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ। এ আদালতে সশরীরে নয়, ভার্চুয়াল মাধ্যমেই শুনানি হবে।

প্রতি সপ্তাহে দুই দিন (সোম ও বৃহষ্পতিবার) বসবে আপিল বিভাগ। সর্বশেষ গত ১২ মার্চ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে বসেছিল আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ।
আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. বদরুল আলম ভূঁঞার স্বাক্ষরে রবিবার (১২ জুলাই) এবিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণ রোধে শারীরিক উপস্থিতি ছাড়াই তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০ এবং আদালত প্রণীত ‘প্র্যাকটিস ডাইরেকশন’ অনুসরণ করতে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে শুধু ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ভার্চুয়াল কোর্টের মাধ্যমে বিচারকার্য পরিচালিত হবে। এ মর্মে প্রধান বিচারপতি বিষয়টি অনুমোদন করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, ‘আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল কোর্টে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রত্যেক সপ্তাহের সোমবার ও বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত শুনানি গ্রহণ করা হবে।’
সর্বশেষ গত ১২ মার্চ সশরীরে বসেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ। পরদিন ১৩ মার্চ থেকে সুপ্রিম কোর্টে শুরু হয় অবকাশকালীন ছুটি। ওই ছুটি শেষ হওয়ার আগেই দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে। এ অবস্থায় গত ২৬ মার্চ থেকে সারা দেশে নিয়মিত আদালত বন্ধ হয়ে যায়।

এ প্রেক্ষাপটে ভার্চুয়াল আদালত চালু করতে গত ৯ মে আদালতে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০ নামে গেজেট প্রকাশ করে। এই অধ্যাদেশের ক্ষমতাবলে ভার্চুয়াল উপস্থিতি নিশ্চিত করার মাধ্যমে আদালতকে মামলার বিচার, বিচারিক অনুসন্ধান, দরখাস্ত বা আপিল শুনানি, সাক্ষ্যগ্রহণ, যুক্তিতর্ক গ্রহণ, আদেশ বা রায় দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়।

পরদিন ১০ মে সুপ্রিম কোর্টসহ সারাদেশে ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনার জন্য ‘প্র্যাকটিস নির্দেশনা’ এবং আইনজীবীদের জন্য ‘ভার্চুয়াল কোর্টরুম ম্যানুয়াল’ প্রকাশ করা হয়। এরপর ১১ মে থেকে ভার্চুয়াল আদালত কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে শুধুমাত্র সীমিত আকারে নির্দিষ্ট কিছু আদালতে জামিন আবেদনের শুনানি শুরু হয়।

পরবর্তীতে ৩০ মে’র পর আদালতের সংখ্যা ও এখতিয়ার বাড়ানো হয়েছে। এরপর থেকে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতসহ সারা দেশে আদালতগুলোতে নির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানি করা হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় ভার্চুয়ালি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.