ইন্দোনেশিয়ায় জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবেন পুতিন ও শি

এ বছরের নভেম্বর মাসে ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে আয়োজিত হতে চলেছে জি-২০ সম্মেলন। আর ওই সম্মেলনে যোগ দেবেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ব্লুমবার্গকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন কথাই জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো।

জোকো বলেন, শি জিনপিং আসবেন। প্রেসিডেন্ট পুতিনও আমাকে বলেছেন যে, তিনি সম্মেলনে যোগ দেবেন। এই দুই নেতা জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবেন কিনা তা নিয়ে বেশ আলোচনা চলছিল। তবে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টই প্রথম বিষয়টি নিশ্চিত করলেন। এটি হবে ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ অভিযান এবং তাইওয়ানকে ঘিরে চীনের নজিরবিহীন সামরিক মহড়ার পর প্রথম কোনো বৈশ্বিক সম্মেলন।

বিবিসি জানিয়েছে, প্রায় তিন বছর ধরে চীন ছাড়ছেন না শি জিনপিং। সর্বশেষ ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি বিদেশ সফর করেছিলেন। এরমধ্যে তিনি শুধু একবার হংকং সফর করেছিলেন। উইডোডো’র দাবি সত্যি হলে, তিন বছর পর আবারও বিদেশ সফর করবেন শি জিনপিং।

বিজ্ঞাপন

ওই সম্মেলনে যোগ দেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। যদিও তিনি পুতিনের সঙ্গে দেখা করবেন কিনা তা স্পষ্ট নয়। তবে শি এবং বাইডেনের মুখোমুখি বৈঠকের সম্ভাবনা আছে বলে বিভিন্ন রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক বর্তমানে তলানিতে আছে। মানবাধিকার, বাণিজ্য এবং তাইওয়ান ইস্যুতে দুই দেশের রেষারেষি আকাশ ছুঁয়েছে। সর্বশেষ মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরকে কেন্দ্র করে ইতিহাসের সবথেকে খারাপ অবস্থায় পৌঁছে যায় দুই দেশের সম্পর্ক। ওই সফরের জবাবে চীন তাইওয়ানের চারদিকে সপ্তাহব্যাপী নজিরবিহীন এক সামরিক মহড়া চালায়। যুক্তরাষ্ট্রকে চীন জানান দেয়, তারা তাইওয়ান দখল করতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্র কিছু করতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্র ওই মহড়ার নিন্দা জানায় এবং একে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে আখ্যায়িত করে।

এদিকে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের প্রেক্ষিতে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক প্রায় ছিন্ন পশ্চিমা বিশ্বের। ইউরোপের কিছু দেশ দ্বিধাগ্রস্থ হলেও যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেন গত ৬ মাসে রাশিয়াকে একঘরে করে দিতে নিজেদের সর্বশক্তি ব্যয় করেছে। ওয়াশিংটন এর আগে জি-২০ থেকে রাশিয়াকে বের করে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। নভেম্বরের সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিনের আমন্ত্রণ তুলে নেয়ার কথাও বলে দেশটি। যদিও ইন্দোনেশিয়া মধ্যবর্তী অবস্থান নিয়ে উভয় পক্ষকেই আমন্ত্রণ জানিয়েছে। উইডোডো বলেন, বড় দেশগুলোর মধ্যে এই সংঘাত অবশ্যই ভয়ের। আমরা চাই স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ একটি অবস্থা যাতে আমরা অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারি।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.