টোকিও অলিম্পিকে করোনার নেগেটিভ সনদ ও ভ্যাকসিন লাগবে দর্শকদের

বিদেশি দর্শক ছাড়া টোকিও অলিম্পিক এবং প্যারা অলিম্পিক আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাপান সরকার। কোভিডের পরবর্তী পরিস্থিতির কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে আয়োজকরা। পাশাপাশি স্থানীয় দর্শকদের জন্য কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট এবং ভ্যাকসিন নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তারা। জাপানের গণমাধ্যম ইয়োমিউরি এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

পাশাপাশি তারা এটাও জানিয়েছে, অলিম্পিক বাতিলের যে ভোটাভুটি চলছে তাতে এগিয়ে আছে বিরোধীরাই। অলিম্পিক গেমস হতে আর দুই মাসেরও কম সময় হাতে আছে। করোনাভাইরাসের চতুর্থ ঢেউয়ে পর্যদুস্ত হলেও এই আসরটি সূচি অনুযায়ী আয়োজনে বদ্ধপরিকর জাপান সরকার।

এমনকি জনরোষের মুখে পড়লেও তারা তা কানে নিচ্ছে না। নিকি পত্রিকার এক জরিপে পাওয়া গেছে, ৬০ শতাংশ জাপানিজ অলিম্পিক গেমস বাতিলের পক্ষে। ইয়োমিউরি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাজারেরও টুইট হচ্ছে আয়োজকদের সমালোচনা করে।

‘নেগেটিভ টেস্ট সার্টিফিকেট’ হ্যাশট্যাগ চালু হয়েছে। যেখানে একদিনে ৮ হাজারেরও বেশি টুইট করা হয়েছে। গত বছর টোকিও অলিম্পিক হওয়ার কথা ছিল। তবে কোভিড-১৯ বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ আকারে দেখা দিলে আসরটি এক বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়। স্থগিত করায় প্যারা অলিম্পিকও। এ বছরের অলিম্পিক ২৩ জুলাই থেকে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে এবং শেষ হবে ৮ আগস্ট।

প্যারা অলিম্পিক চলবে ২৪ আগস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ২০০ এর বেশি দেশ থেকে প্রায় ১১০০০ অ্যাথলেট অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করবে। তাদের সবার কোভিড সুরক্ষায় বিশাল অঙ্কের অর্থ ব্যয় হচ্ছে আয়োজকদের। জাপানের গণমাধ্যমের খবর, টোকিও অলিম্পিক পরিচালনা করতে ২৮০ কোটি ডলার খরচের হিসেব দিয়েছে অলিম্পিক কমিটি। যার মধ্যে করোনা প্রতিরোধেই ব্যয় ধরা হয়েছে ৯০ কোটি ডলার।

জাপানে সাড়ে চার লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন প্রায় পাঁচ হাজার জন। অন্য উন্নত দেশের তুলনায় জাপানে করোনার প্রকোপ কম। কিন্তু জাপানে এখন আবার করোনা ছড়াচ্ছে। তাই দেশটির সরকার এখন বিদেশিদের ঢোকা বন্ধ করে দিয়েছে।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.