বিরাটের সঙ্গে কী কথা হলো ‘শেয়ার’ করা যাবে না: বাবর

মাঠের ক্রিকেটে দ্বৈরথ থাকলেও মাঠের বাইরে খুব ভালো বন্ধু বিরাট কোহলি ও বাবর আজম। দুজনের দেখা হলে আলাদা করে সব সময় কথা বলতে দেখা যায়।

ভারতের তারকা ক্রিকেটারের সঙ্গে কথা বলার আগ্রহ বেশি থাকে বাবর আজমেরই। উত্তরটা প্রায় সবারই জানা। বিরাটের থেকে ক্রিকেট টিপস নিয়ে থাকেন বাবর। বিরাটও কম যান না। কখনো ব্যাট উপহার দেন। কখনো দেন অটোগ্রাফ করা জার্সি। ২০২৩ বিশ্বকাপে দুজনের শেষ সাক্ষাৎ হয়েছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়াম নরেন্দ্র মোদী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। প্রতিবেশি দুই দেশের লড়াইকে কেন্দ্র করে আহমেদাবাদে উৎসব নেমেছিল। যেই ম্যাচ দেখেছিল প্রায় নব্বই হাজার দর্শক।

ম্যাচ শেষে বিরাট ও বাবরকে আলাদা করে কথা বলতে দেখা যায়। কি কথা হয়েছিল দুজনের? জানতে চাওয়া হয়েছিল বাবরের কাছে। পাকিস্তানের জালমি টিভি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাবর ওই ম্যাচ নিয়ে কথা বললেও দুজনের কি কথা হয়েছে তা শেয়ার করেননি।

বাবর বলেছেন, ‘যখনই আমাদের সাক্ষাৎ হয় আমি সব সময় তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করি। তাকে কিছু না কিছু জিজ্ঞেস করি এবং সে সব সময় আমাকে সাহায্য করে। শুধু বিরাটই নয়, আমি স্টিভেন স্মিথ, কেন উইলিয়ামসনের সঙ্গেও কথা বলি। বিরাটের সঙ্গে কথা বলে আনন্দ পাই। কিছু বিষয় আছে যেগুলো শেয়ার করা যাবে না। কিন্তু সেগুলো বেশ কার্যকরী।’

বাবর পাকিস্তানকে ২০২৩ বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু বিশ্বকাপে তার দল ভালো করতে না পারায় প্রবল সমালোচিত হয়েছিলেন। এরপর অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। তবে পুনরায় তাকে সাদা বলের ক্রিকেটে অধিনায়ক করেছে পিসিবি।

২০২৩ বিশ্বকাপের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বাবর বলেছেন, ‘একদমই ভিন্ন রকমের আবহ ছিল। পুরো স্টেডিয়াম নীল সমুদ্র হয়ে গিয়েছিল (ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে)। আপনি যখন ভারতে ভারতের বিপক্ষে খেলবেন এটাই স্বাভাবিক ঘটনা। তবে অন্যান্য ভেন্যুতে আমরা প্রচণ্ড সাপোর্ট পেয়েছি।’

‘আমি এতোটা সাপোর্ট পাবো প্রত্যাশা করিনি। ভারতে প্রথমবার আমি খেলতে গিয়েছিলাম। কোনো ধারণা আমার ছিল না। ভিন্ন রকমের অভিজ্ঞতা হয়েছে। ভারতের মানুষ আমাদের এবং আমাদের ক্রিকেটের প্রতি সম্মান এবং ভালোবাসা দেখিয়েছে।’ – যোগ করেন বাবর।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.