×

  • নিউজ ডেস্ক

    প্রকাশিত : তারিখ - ২০২৫-০৫-১৭, সময় - ১২:৩০:২৭

ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে আটক ৪০ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে কোনো আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই সমুদ্রে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এই ঘটনায় ভারতের সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন করা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে- যাদের সমুদ্রে ফেলা হয়েছে, তাদের মধ্যে কিশোর-কিশোরী, বৃদ্ধ এবং বিভিন্ন গুরুতর রোগে আক্রান্ত মানুষও ছিলেন।

ভুক্তভোগীদের স্বজনদের দাবি, দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, শুধুই বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করা হবে। কিন্তু এরপর আর কেউ ঘরে ফেরেনি।

উল্লেখ্য, এই রোহিঙ্গারা সবাই জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) নিবন্ধিত শরণার্থী ছিলেন। ৬ মে রাতে দিল্লির উত্তম নগর, বিকাশপুরি ও হাসতসাল এলাকা থেকে তাদের তুলে নেওয়া হয়।

প্রথমে তাদের ইন্দরলোক ডিটেনশন সেন্টারে নেওয়া হয়, এরপর ৮ মে একটি ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজে করে আন্দামান পৌঁছে দেওয়া হয়। অভিযোগ, সেখান থেকে একটি নৌযানে করে আন্তর্জাতিক জলসীমায় নিয়ে তাদের একে একে সমুদ্রে ফেলে দেওয়া হয়।

শুক্রবার (১৬ মে) এপি (এসোসিয়েটেড প্রেস) ও ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়্যার এ সংক্রান্ত প্রকাশিত পৃথক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার আইনজীবীরা জানান, আটক ব্যক্তিদের আইনের ২২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আদালতে পেশ করা হয়নি, যা ভারতের সংবিধান লঙ্ঘন করে।

ইউএনএইচসিআরের আইন কর্মকর্তা দিলোয়ার হোসাইন বলেন, তাদের সঙ্গে ভয়ানক প্রতারণা করা হয়েছে। কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বা আদালতে উপস্থাপনের ব্যবস্থা ছিল না। এমনকি নারীদের ক্ষেত্রে কোনো স্পেশাল জুভেনাইল পুলিশ ইউনিটও (এমন একটি বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিট, যেটি শুধু শিশুদের ১৮ বছরের নিচে, সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো দেখভাল করার জন্য গঠিত হয়) ছিল না।

তিনি আরও জানান, এক নারীর স্বামীকে তুলে নেওয়া হয়, যিনি সদ্য গর্ভপাতের শিকার হয়েছিলেন। আরেক নারী অভিযোগ করেন, তিনজন পুলিশ মদ্যপ অবস্থায় তার বাড়িতে ঢুকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করে।

নিউজটি শেয়ার করুন



এ জাতীয় আরো খবর..
ইউটিউবে আমরা...
ফেসবুকে আমরা...