×

  • নিউজ ডেস্ক

    প্রকাশিত : তারিখ - ২০২৫-১২-২১, সময় - ০৭:৫৮:৫৭
বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক সম্পদ অর্জনে নতুন ইতিহাস গড়েছেন। বিশ্বের শীর্ষ এই ধনী ব্যক্তির নিট সম্পদ ৭০০ বিলিয়ন বা ৭০ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। ইতিহাসে এবারই প্রথম কারও সম্পদ ৭০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল। মূলত ডেলাওয়ার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর তার মোট সম্পদের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪৯ বিলিয়ন ডলারে। আর এটিই তাকে বিশ্বের প্রথম ৭০০ বিলিয়ন ডলারের ধনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড বলছে, টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ক বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ৭০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি সম্পদের মালিক হলেন। ফোর্বসের বিলিয়নিয়ার সূচক অনুযায়ী, ডেলাওয়ার সুপ্রিম কোর্ট টেসলার শেয়ারভিত্তিক পারিশ্রমিক চুক্তি পুনর্বহাল করায় মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪৯ বিলিয়ন ডলারে। গত বছর বাতিল হওয়া এই শেয়ার অপশনের মূল্য ১৩৯ বিলিয়ন ডলার।


২০১৮ সালে করা মাস্কের পারিশ্রমিক প্যাকেজটির মূল্য একসময় ছিল ৫৬ বিলিয়ন ডলার। তবে নিম্ন আদালত সেটিকে ‘অচিন্তনীয়’ বলে বাতিল করেছিল। শুক্রবার ডেলাওয়ার সুপ্রিম কোর্ট সেই সিদ্ধান্ত উল্টে দিয়ে প্যাকেজটি পুনর্বহাল করে। আদালত জানায়, ২০২৪ সালের যে রায়ে এই চুক্তি বাতিল করা হয়েছিল, তা ছিল অনুচিত এবং মাস্কের প্রতি অন্যায়।

এর আগে চলতি সপ্তাহেই মাস্ক ইতিহাসে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ৬০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি সম্পদের মালিক হন। তার মহাকাশ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স শিগগিরই শেয়ারবাজারে আসতে পারে— এমন প্রতিবেদনের পরই তার সম্পদের পরিমাণ দ্রুত বাড়তে থাকে।

এর আগে গত নভেম্বরে টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা আলাদাভাবে মাস্কের জন্য এক ট্রিলিয়ন ডলারের একটি পারিশ্রমিক পরিকল্পনা অনুমোদন করেন। এটি করপোরেট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পারিশ্রমিক প্যাকেজ। বিনিয়োগকারীরা টেসলাকে কেবল বৈদ্যুতিক গাড়ির নির্মাতা নয়, বরং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবটিক্সভিত্তিক শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের মাস্কের পরিকল্পনার প্রতি সমর্থনও জানান।

ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী, বর্তমানে মাস্কের সম্পদ বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী গুগলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজের তুলনায় প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ডলার বেশি।

অবশ্য খুবই অস্থিরতার মধ্য দিয়ে এ বছরটা শুরু হয়েছিল ইলন মাস্কের। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে যোগ দেয়া ও এরপর নানা বিরোধে সেখান থেকে সরে আসার ঘটনা তার জীবনে নতুন অভিজ্ঞতা যুক্ত করে। পরবর্তী সময়ে তিনি টেসলার বিকাশে পূর্ণ মনোযোগ দেন। আর এটিই বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা এই কোম্পানির শেয়ারে প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন



এ জাতীয় আরো খবর..
ইউটিউবে আমরা...
ফেসবুকে আমরা...