×

  • নিউজ ডেস্ক

    প্রকাশিত : তারিখ - ২০২৫-০৬-১০, সময় - ১৩:০০:০৯

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ জানিয়েছেন, লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন থাকবে অন্তত ৬০ দিন। তিনি হাউস কমিটিকে বলেন, পুলিশের ওপর যারা হামলা চালাচ্ছে- সেই দাঙ্গাবাজ, লুটেরা আর সন্ত্রাসীরা যেন বোঝে, আমরা এখান থেকে যাচ্ছি না।’ খবর দ্য গার্ডিয়ান

এদিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ক্যালিফোর্নিয়ায় ন্যাশনাল গার্ড থাকবে ‘যতক্ষণ না কোনো ঝুঁকি থাকে।’ তার ভাষায়, ‘এটা সাধারণ জ্ঞান… যখন কোনো বিপদ থাকবে না, তারা চলে যাবে।’ ট্রাম্প আরও দাবি করেন, ‘আমি তাদের না পাঠালে খুবই ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো।’

অভিবাসনবিরোধী অভিযানের বিরুদ্ধে এবার যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লস অ্যাঞ্জেলেসে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস)-এর কড়া অবস্থানকে সমর্থন জানিয়ে বক্তব্য দেয়ার পর এই বিক্ষোভগুলো আরও জোরদার হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার বিভিন্ন শহরে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলেসের দক্ষিণ-পূর্বে সান্তা আনা শহরেও বিক্ষোভ হয়েছে।

 

ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূলীয় শহর সান ফ্রান্সিসকোতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। সেখানে প্রায় ১৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার বাইরেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। নিউইয়র্ক সিটিতে ফেডারেল ভবনের সামনে গাড়ি আটকে দিয়ে প্রতিবাদ করায় অনেককেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। খবর সিএনএনের।

সিএনএনের সহযোগী চ্যানেল ডব্লিউএসবি-র ভিডিওতে দেখা গেছে, আটলান্টায় আইচ অফিসের সামনে আটকদের মুক্তির দাবিতে জড়ো হয়েছেন বহু মানুষ। লুইসভিল, কেনটাকির প্রতিবাদকারীরা আইচ নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। ডালাস, টেক্সাসেও বিক্ষোভ হয়েছে অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে।

এছাড়া, শ্রমিক নেতার মুক্তির দাবিতে আলাদা আন্দোলন হয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলেসের বিক্ষোভে ডেভিড হুয়েরতা, একজন প্রভাবশালী শ্রমিক নেতা গ্রেপ্তার হওয়ার পর  জামিনে মুক্তি পান। এই গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন শহরে আলাদাভাবে প্রতিবাদ হয়েছে। শহরগুলো হচ্ছে বস্টন, পিটসবার্গ, শার্লট, সিয়াটল এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে।

নিউজটি শেয়ার করুন



এ জাতীয় আরো খবর..
ইউটিউবে আমরা...
ফেসবুকে আমরা...