যুক্তরাজ্য সফর শেষে ফেরার পথে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের
হেলিকপ্টারটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে লন্ডনের লুটন বিমানবন্দরে জরুরি
অবতরণ করে।হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন,
হেলিকপ্টারটিতে ‘সামান্য হাইড্রলিক সমস্যা’ দেখা দেয়ায় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ
হিসেবে স্থানীয় এয়ারফিল্ডে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় অবতরণ
করানো হয়। পরে ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প নিরাপদে সহায়ক
হেলিকপ্টারে চড়ে স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দরে পৌঁছান। এসময় তাদের নির্ধারিত
সময়ের চেয়ে প্রায় ২০ মিনিট দেরি হয়। খবর জিও নিউজের।
অবতরণের পর লুটনের রানওয়েতে জরুরি সেবাকর্মীদের উপস্থিতি দেখা যায়।
ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের ব্যবহৃত দুটি
হেলিকপ্টার-মেরিন ওয়ান ও মেরিন টু—রানওয়ের পাশে পার্ক করা অবস্থায় রয়েছে।
‘হোয়াইট টপস’ নামে পরিচিত এই হেলিকপ্টারগুলো বিশেষ নিরাপত্তা সুবিধা
সম্পন্ন। এতে রয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, রাডার জ্যামার এবং
পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ইলেকট্রনিক্স। নিরাপত্তার কারণে মেরিন ওয়ান
প্রায়শই একই রকম দেখতে কয়েকটি হেলিকপ্টারের সঙ্গে উড়ে এবং ‘গ্রিন টপস’ নামক
এমভি-২২ অস্ত্রে হেলিকপ্টারগুলো সিক্রেট সার্ভিস সদস্য ও সহায়ক কর্মীদের
বহন করে।
ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাজ্যে যান।
মঙ্গলবার রাতে তিনি স্ট্যানস্টেডে পৌঁছান এবং পরে লন্ডনের মার্কিন
রাষ্ট্রদূতের সরকারি বাসভবন উইনফিল্ড হাউসে অবস্থান করেন। বুধবার ট্রাম্প ও
মেলানিয়া উইন্ডসর ক্যাসেলে রাজা ও রানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বৃহস্পতিবার
তিনি প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে চেকার্সে বৈঠক করেন।
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দুই নেতা ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজা পরিস্থিতি ও অবৈধ
অভিবাসনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা করেন। ট্রাম্প প্রস্তাব দেন, যুক্তরাজ্য
চাইলে অভিবাসন মোকাবিলায় সেনা মোতায়েন বিবেচনা করতে পারে—যা স্টারমারের
সঙ্গে তার নীতিগত পার্থক্যকে স্পষ্ট করে। এছাড়া, আসন্ন জাতিসংঘ সাধারণ
পরিষদের আগে ব্রিটেনের ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতির পরিকল্পনার বিরোধিতাও
করেন ট্রাম্প।
এ জাতীয় আরো খবর..